নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর বায়ুদূষণ কমাতে আগামী ১০০ দিনের কর্মসূচিতে ঢাকার আশপাশের ৫০০ অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘ঢাকার চারপাশে এক হাজার অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। এ ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড ঘিরে দুর্নীতি হয়। অবৈধকে বৈধ করতে নানা ধরনের লেনদেন হয়।
আমরা চাইছি এটা নির্মূল করতে। আমরা চাই না এ ধরনের ইটভাটা থাকুক।’
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুয়রের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকার আশপাশে যে অবৈধ ইটভাটা আছে, সেগুলো গুঁড়িয়ে দিচ্ছি।
সেটা দিয়ে পুরো সমস্যা সমাধান হবে না। ঢাকা শহরে সিমেন্ট, বালি পরিবহন হয়, নির্মাণকাজ হচ্ছে, সেগুলো ঢেকে রাখার নিয়ম আছে। কিন্তু মানা হচ্ছে না। এখন যে বায়ুর মান আছে, সেটা অত্যন্ত ক্ষতিকর।
এখানে কিছু করতে হবে। বৃহস্পতিবার (আজ) ১০০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সেখানে এসব বিষয়ে বিস্তারিত থাকবে।’
কতগুলো ইটভাটা অবৈধ আছে, আর কতগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের হিসাবে দুই হাজারের মতো অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। আমরা প্রথমে ঢাকার আশপাশে স্থায়ী চিমনিগুলো চিহ্নিত করছি।
১০০ দিনের কর্মসূচিতে দিনে গড়ে তিন-চারটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেব। ১০০ কর্মদিবসের লক্ষ্য হচ্ছে ৫০০ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেব।’
বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে চুক্তি হবে
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে জলবায়ু অভিযোজন চুক্তি করা হবে। চুক্তিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে মানুষের সুরক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আশা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যে চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করব। তারপর প্রধানমন্ত্রী ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট দুজনে মিলে সই করবেন বলে আমার ধারণা।’
তিনি উল্লেখ করেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে সফরকালে ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে একটা জলবায়ু অভিযোজন চুক্তি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।