গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ৭টা। রাজধানীর পার্শ্ববর্তী গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ এলাকা। ‘ইমারজেন্সি সাইরেন’ বাজিয়ে মহড়া দিচ্ছিল প্রায় ১৫টার মতো মোটরসাইকেলে। প্রতিটি মোটরসাইকেলে ছিল দুই থেকে তিনজন করে কিশোর। তাদের হাতে ছিল রাম দা, হকিস্টিক, লাঠিসহ দেশি অস্ত্র। তবে হঠাৎ করেই ওই মহড়া থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। একটি গুলি গিয়ে লাগে সৌদি প্রবাসী মাহবুব আলমের ফ্ল্যাটে। গুলির আঘাতে ছিদ্র হয় জানালার কাচ। আরেকটি গুলি বিদ্ধ হয় একই এলাকার কলেজশিক্ষক শিমুল খন্দকার নামের এক ব্যক্তির ভাড়া বাসার জানালায়। শুধু তাই নয়, এ ঘটনার কেবল এক দিন আগেই এমন আরেকটি মহড়া থেকে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, মাঝে মাঝেই এরা এলাকায় মহড়া দিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে আসছিল অনেক দিন ধরে। তবে পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে আসছিল।
গতকাল শ্রীপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলছিলেন, নির্বাচনের সময় আমি এ থানায় এসেছি। তাই অনেক কিছুই আমার কাছে অজানা। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ছয়জনকে অজ্ঞাত উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন মগবাজারের মধুবাগ এলাকায় খুন হয় কিশোর আশিক মিয়া (১৪)। ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে আশিক খুন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের মা শাহনাজ বেগম। তিনি বলছেন, হত্যাকাণ্ডে এলাকার বখাটে মইনুদ্দিন, তানভীর, জাহাঙ্গীর, বেলাল, রাসেলসহ অন্তত ১১ জন জড়িত। এই কিশোর গ্যাংয়ের কারণে মধুবাগসহ আশপাশের এলাকায় অনেকেই অতিষ্ঠ। পুলিশ বলছে, যাদের নাম এসেছে তাদের প্রায় সবাই মাদকাসক্ত। এদের কয়েকজন আগেও বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিল। তবে বয়স কম হওয়ার কারণে তারা দ্রুতই জামিন পেয়ে বাইরে এসে আগের মতোই অপরাধ কান্ডে জড়িয়েছে।বিস্তারিত