ঢাকায় কেন লক্কড়ঝক্কড় বাস ♦ ভিতরে নোংরা, দুর্গন্ধের মধ্যে চলছে যাত্রী পরিবহন ♦ হেডলাইট, দরজা, জানালার গ্লাস, সিট ভাঙা ♦ সড়কে মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি ৫ লাখ ৭৭ হাজার

ঢাকায় কেন লক্কড়ঝক্কড় বাস ♦ ভিতরে নোংরা, দুর্গন্ধের মধ্যে চলছে যাত্রী পরিবহন ♦ হেডলাইট, দরজা, জানালার গ্লাস, সিট ভাঙা ♦ সড়কে মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি ৫ লাখ ৭৭ হাজার

যাত্রাবাড়ী থেকে মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা হয়ে টঙ্গী রুটে চলাচল করে তুরাগ পরিবহন। রামপুরা ব্রিজে যাত্রী তোলার জন্য দাঁড়ানো তুরাগ পরিবহনের বাসে দেখা যায় এর পেছনের অংশে কোনো বাতি নেই। বাসের রং কোথাও উঠে গেছে, কোথাও মরিচা ধরা, অসংখ্য ফুটো, কোথাওবা পোস্টার সাঁটানো। পেছনের অংশের মতো সামনের দিকেও বাসের রং চটা, চারটির মধ্যে একটি হেডলাইট নেই। নেই কোনো দিকনির্দেশক বাতি। রাজধানীজুড়ে চলছে ভাঙাচোরা, লক্কড়ঝক্কড় বাসের দৌরাত্ম্য। কোনোটির রং চটা, কোনোটির ছাল ওঠা। কোনোটির জানালার গ্লাস ভাঙা, কোনোটির আবার দরজাই নেই। কিছু বাসের আসনগুলোরও করুণ অবস্থা। বাসের ভাঙা সিটে অনেক সময় যাত্রীদের জামাকাপড় ছিঁড়ে গিয়ে লজ্জাকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। অনেক বাসের ভিতরে প্রস্রাবের দুর্গন্ধ পাওয়া যায়, সিটে বাসা বেঁধেছে ছারপোকা। ফিটনেসবিহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ এসব যানবাহনে চলাচল যেমন বিপজ্জনক তেমনি নগরীর সৌন্দর্যহানিও করছে। বিশৃঙ্খলভাবে চলাচল করায় হচ্ছে যানজট।

সরকারের নীতিমালা না থাকায় এ সুযোগ নিচ্ছেন বাস মালিকরা। দুই দশক আগেও রাজধানী ঢাকায় রুট অনুযায়ী গণপরিবহনের জন্য সুনির্দিষ্ট রং নির্ধারণ করত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সংস্থাটির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বাসের রং উঠে গেলে সেটি চলাচলের অনুপযোগী হবে। বিআরটিএর সেই সার্কুলার পরবর্তী সময়ে নতুন করে জারি করা হয়নি। বর্তমানে রাজধানীর ২৯১টি রুটে চলাচলকারী ৪০ হাজার বাসের অধিকাংশই এখন রংচটা অবস্থায় চলছে।বিস্তারিত

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ