প্রমোদতরী শব্দটি উচ্চারিত হলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিশালাকৃতির ক্রুজ বা জাহাজ। সমুদ্রে ভেসে থাকা সত্ত্বেও যেখানে রয়েছে সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। কাটানো যায় অবকাশের সেরা সময়গুলো। দূর থেকে দেখলে মনে হয় এ যেন চলন্ত একটি শহর…
আইকন অব দ্য সিজ
পরিবেশবাদীদের উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও সাগরে ভাসল সবচেয়ে বড় প্রমোদতরী ‘আইকন অব দ্য সিজ’। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামি থেকে প্রথমবারের মতো সমুদ্রে যাত্রা শুরু করেছে ‘আইকন অব দ্য সিজ’। প্রথম যাত্রায় এতে যে-সংখ্যক যাত্রী উঠেছেন, তা ছোটখাটো একটি শহরের জনসংখ্যার সমান। ১২০০ ফুট দীর্ঘ জাহাজটির ২০টি ডেক, ৪০টির বেশি রেস্তোরাঁ, সাতটি সুইমিং পুল এবং ৭ হাজার ৬০০ যাত্রী বহনে সক্ষম। আর ওজন! আনুমানিক প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টন। আইকন অব দ্য সিস প্রমোদতরীটির নির্মাণ প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি ডলার।
পরিবেশবাদীরা জাহাজটির সমালোচনা করে বলেছেন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) চালিত জাহাজ বাতাসে ক্ষতিকারক মিথেন ছড়িয়ে দেবে। এতে পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও এলএনজি সামুদ্রিক জ্বালানির চেয়ে বেশি পরিচ্ছন্নভাবে জ্বালানি পোড়ায়, তবে এটি মিথেন নির্গমনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, যা কার্বন ডাই অক্সাইডের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন কিন ট্রান্সপোর্টেশনের (আইসিসিটি) সামুদ্রিক কর্মসূচির পরিচালক ব্রায়ান কমার বলেন, ‘এটি ভুল পথের পদক্ষেপ।’ তিনি আরও বলেন, ‘সামুদ্রিক জ্বালানি হিসেবে এলএনজি’র ব্যবহার সামুদ্রিক গ্যাস তেলের তুলনায় ১২০ শতাংশ বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত করতে পারে। বায়ুমন্ডলে মিথেন ২০ বছরে কার্বন ডাই অক্সাইডের চেয়ে ৮০ গুণ বেশি তাপ আটকে রাখে। গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমানোর জন্য এই নির্গমন হ্রাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।বিস্তারিত