কিছুক্ষণ আরও না হয় রহিতে কাছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বিদায়ের দিন আজ

কিছুক্ষণ আরও না হয় রহিতে কাছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বিদায়ের দিন আজ

‘গীতশ্রী’ খ্যাত অনবদ্য এক সংগীত পুরাধার নাম সন্ধ্যা মুখপাধ্যায়, যিনি একদিন আপন মনে গেয়ে উঠেছিলেন ‘এ শুধু গানের দিন, এ লগনও গান শোনাবার’…তারপর গানে গানে সংগীত ভান্ডারকে অপূর্ব পূর্ণতা দিয়ে আবারও গেয়ে উঠলেন ‘মধুমালতী ডাকে ওই’… ২০২২ সাল, ৯০ বছর বয়সে মধু মালতীর ডাকে সাড়া দিয়ে আজকের দিনে পরপারে যাত্রা  তার, রেখে গেছেন অনেক কিছু তবুও বলে গেলেন ‘হয়তো কিছুই নাহি পাবো…’ প্রয়াত সন্ধ্যার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁকে নিয়ে লিখেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

দৃশ্য-১, সময় রাত ৯টা

 

(ঠক ঠক ঠক। সদর দরজায় কে যেন ঘন ঘন কড়া নাড়ছে। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জ্ঞানেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত দরজা খুলে দেখলেন দাঁড়িয়ে আছেন বন্ধুবর ডাক্তার বিশ্বনাথ। কলকাতা করপোরেশনের কাউন্সিলর। খুব উত্তেজিত। হাঁপাচ্ছেন। বন্ধুকে প্রায় ঠেলেই ঢুকে এলেন ভিতরে)।

-বুঝলে, আজ একটা ব্যাপার হয়েছে।

-আরে বোসো, বোসো। এত উত্তেজনা কীসের?

-উফ, কী শুনে এলাম! এমন গলা আগে আর শুনিনি। বুঝলে, আজ যে আসরে গিয়েছিলাম, সেখানে স্টেজে উঠল একটা বাচ্চা মেয়ে। নতুন মুখ। কালো মতো,  রোগা, অতি সাধারণ চেহারা, দুই বিনুনি বাঁধা। শাড়ির আঁচলখানা গায়ে জড়িয়ে স্টেজে বসল। আমি ভাবলাম, এ আবার কী ক্ল্যাসিক্যাল গাইবে? চেহারা দেখে গাইয়ে বলে মনেই হয় না। আহা, চেহারার সঙ্গে গানের কী সম্পর্ক। কী বোকাই যে বনে গেলাম। তানপুরা মিলিয়ে নিয়ে মেয়েটা সুর ছাড়ল। সেই ভয়েস থ্রো শুনে তো আমি মোহিত। নিখুঁত, গোল আওয়াজ। যেমন মিষ্টি গলা, তেমনি টোনাল কোয়ালিটি। এমনটি আমি আগে আর শুনিনি। মেয়েটির নাম সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। শুনলাম বড়ে গোলাম আলি খান সাহেবের ছাত্রী। উফ, ঈশ্বরদত্ত কণ্ঠ আর সুর। তার সঙ্গে সূক্ষ্ম কাজ। এ মেয়ে অনেকদূর যাবে, এই বলে দিলাম তোমায়। এ কাহিনি পঞ্চাশের দশকের। তার পরের ইতিহাস সবারই জানা।বিস্তারিত

বিনোদন শীর্ষ সংবাদ