নিজস্ব প্রতিবেদক
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ চারটি পদে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে সম্পাদক পদে শাহ মঞ্জুরুল হকসহ ১০টি পদ গেছে আওয়ামী লীগের প্যানেলের প্রার্থীদের দখলে।
শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে দেখা গেছে, সভাপতি ও তিনটি সদস্য পদে বিএনপির প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে সম্পাদক পদ, দুই সহ-সভাপতি, দুই সহ-সেক্রেটারি, কোষাধ্যক্ষ ও চারটি সদস্য পদে মোট ১০টি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
এদিকে জাল ভোট ও কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনও পুনরায় ভোট গণনার আবেদন করেছেন।
এর আগে অনেক নাটকীয়তার পর শনিবার (৯ মার্চ) বিকেল ৩টার পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়।
ভোট গণনা ও ফল ঘোষণা উপলক্ষ্যে প্রচুর পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয় আদালত প্রাঙ্গনে। যে ভবনে ভোট গণনা করা হয়, কড়াকড়ি আরোপ করা হয় সেখানে প্রবেশের ক্ষেত্রেও।
এদিকে ভোট গণনা ছাড়াই সম্পাদক পদে এক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণার বিষয়টি প্রত্যাহার করা হয় এদিন। ভট গণনার আগে নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র আইনজীবী আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়, ‘একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ভোট গণনার আগেই দুঃখজনকভাবে বহিরাগত মাস্তান শ্রেণি কর্তৃক আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করে লিখিত দিতে বাধ্য করা হয়।
যদিও তা অর্থহীন ঘোষণা, তবুও কূটতর্ক নিরসনের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সকলকে তা আমলে না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। ভোট গণনা করেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।’
শুক্রবারই দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনের ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণার কথা থাকলেও হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনায় স্থগিত হয়ে যায় সেই কার্যক্রম। পরে শনিবার বসে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।
এদিকে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি ও বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।