সাক্ষাৎকার: অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার কাজে লাগাতে চাইলে সাড়া দেব

সাক্ষাৎকার: অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার কাজে লাগাতে চাইলে সাড়া দেব

বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষুদ্রঋণ, সামাজিক ব্যবসা ও তিন শূন্যের পৃথিবী ধারণার প্রবক্তা। এই অর্থনীতিবিদ প্রতিষ্ঠিত ‘গ্রামীণ ব্যাংক মডেল’ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বিদেশে অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সক্রিয় মুহাম্মদ ইউনূস স্বাধীনতার পর পরিকল্পনা কমিশনে যোগ দেন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন; তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরও উপদেষ্টা ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, যুক্তরাষ্ট্রের ভেন্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্ধশতাধিক সম্মানসূচক ডক্টরেটও পেয়েছেন। নোবেল ছাড়াও পেয়েছেন রামোন ম্যাগসেসে, স্বাধীনতা পুরস্কারসহ অনেক স্বীকৃতি। থ্রি ফারমার্স অব জোবরা, ব্যাংকার টু দ্য পুওর, ক্রিয়েটিং এ ওয়ার্ল্ড উইদাউট পোভার্টি তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। মুহাম্মদ ইউনূসের জন্ম ১৯৪০ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে

সমকাল: আমরা আনন্দিত যে, আপনি সাক্ষাৎকারের জন্য সময় দিয়েছেন। দেশীয় সংবাদমাধ্যমে আপনার সাক্ষাৎকার দেখা যায় না। এ ব্যাপারে সাংবাদিক মহলে আক্ষেপও রয়েছে।

মুহাম্মদ ইউনূস: আমিও খুব খুশি যে আপনারা এসেছেন। আমি আসলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতেই চাই। কিন্তু সব ক্ষেত্রে সময়সূচি মেলে না। এ ছাড়া অনেক সময় দেখা যায়, আমি বলি একভাবে, প্রকাশ হয় আরেকভাবে। তাতে করে ভুল বোঝাবুঝি বাড়ে। সুনির্দিষ্ট বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনার ক্ষেত্রে আমার কখনোই অসম্মতি নেই।

সমকাল: এই সাক্ষাৎকার এমন সময় নিচ্ছি, যখন আপনার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একাধিক মামলার বিষয় দেশে-বিদেশে আলোচিত। বিরল কিছু স্থানে আপনার উপস্থিতিও লক্ষণীয়। যেমন গত ৩ মার্চ সকালে কাকরাইলে ও দুপুরে পুরান ঢাকায় জামিনের জন্য গিয়েছিলেন। এরই ফাঁকে জনসন রোডের একটি হোটেলে নাশতা করতে হয়েছে। কতদিন পর এভাবে জনপরিসরে গিয়ে আহার করলেন?

মুহাম্মদ ইউনূস: নাশতা করা যেমন তেমন, এভাবে আদালতে যাওয়ার বিষয়টিই আমার কাছে মনে হলো যেন দুঃস্বপ্নের মধ্যে আছি। দুঃস্বপ্ন এ জন্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে আদালতে বিচারপ্রার্থী হতে হচ্ছে। শুধু আমি নই, সব মিলিয়ে আটজন এমন ব্যক্তিকে আদালতে যেতে হয়েছে, যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে সারাজীবন নিয়োজিত থেকেছেন দরিদ্র মানুষের উন্নয়নে। দরিদ্র মানুষের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখা ও বাস্তবায়ন ছাড়া তাদের জীবনে আর কোনো লক্ষ্যই ছিল না।

সমকাল: আমরা এভাবে বলতে পারি, স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দুঃস্বপ্নের মুখোমুখি?বিস্তারিত

শীর্ষ সংবাদ সাক্ষাৎকার