জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সহিংসতা, সংঘাতের রেশ কাটতে না কাটতেই স্থানীয় নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। হঠাৎ করেই আবার শুরু হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রের প্রদর্শন। বিজয় নিশ্চিত করতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অস্ত্র দেখিয়ে অপহরণের ঘটনাও ঘটছে। বিশেষ করে তুচ্ছ ঘটনায় গুলির শব্দে আতঙ্কিত হচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার নানা শ্রেণিপেশার সাধারণ মানুষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পক্ষে অংশ নেওয়া ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরাই নিজেদের মধ্যে লিপ্ত হচ্ছেন ভয়াবহ সংঘর্ষে। দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি তাদের হাতে দেখা যাচ্ছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। গুলিবিদ্ধ হয়ে এরই মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে কাতরাচ্ছেন তাদের অনেকেই। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির এক পরিসংখ্যান বলছে, স্থানীয় নির্বাচনগুলোকে কেন্দ্র করে গত মার্চ মাসে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১৭টি সহিংসতায় তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন মোট ৯২ জন। চলতি এপ্রিলে পাঁচটি ঘটনা ঘটেছে। এতে আহতের সংখ্যা ৩৬ জন। নিহত হয়েছেন চারজন। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরাধীকে রাজনৈতিক পরিচয় অনুযায়ী দেখা হলে সমাজে অস্থিরতা ক্রমেই বাড়বে। বর্তমানে যারা এর সুফল নিচ্ছেন তারাও এক সময় বিষয়টি টের পাবেন।বিস্তারিত