ফারিন সুমাইয়া
গরমের তীব্রতা বাড়ছে দিনকে দিন। বৈশাখের শুরুর দিকের ঝড়ের দেখা মেলার কথা থাকলেও হচ্ছে তার উলটো। দাবদাহে পুড়ছে মানুষ। বাড়ছে হিট স্ট্রোক, ডায়রিয়া, জ্বর, কাশির মতো সমস্যা। তার পরও জীবিকার তাগিদে বের হতে হচ্ছে অনেককেই। গরম বাড়লেও থেমে থাকার কোনো উপায় নেই। তাই গরম থেকে কীভাবে নিজেকে একটু হলেও স্বস্তিতে রাখতে পারেন চলুন তাই জেনে নেওয়া যাক-
** এ গরমে ঘাম হচ্ছে প্রচুর। এতে শরীর হচ্ছে ডিহাউড্রেড বা পানিশূন্য। তাই দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি পানের অভ্যাস করুন।
** বাইরে থেকে এসেই ঠান্ডা পানি পান করা যাবে না। এছাড়া ঘরের তাপমাত্রার সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা এডজাস্ট হয়ে এলেই গোসল করতে হবে। সরাসরি বাইরে থেকে ঘরে এসেই গোসল করা যাবে না।
** অন্যদিকে বাইরের তাপমাত্রার কারণে কলের পানিও গরম হয়ে থাকে। তাই প্রশান্তির গোসলের জন্য আলাদা পানি বালতিতে করে সরিয়ে রাখুন কয়েক ঘণ্টার জন্য। ঠান্ডা হয়ে এলে সেই পানি দিয়ে গোসল করুন।
** বাইরে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিম, সানগ্লাস, পানির বোতল, রুমাল, টিস্যু সঙ্গে রাখুন। ছাতা রাখতেও ভুলবেন না যেন।
** রান্না ঘরে বিশেষভাবে সতর্ক থাকুন, অল্প আঁচে আগুন কমিয়ে রান্না করুন। শাড়ির আঁচল, ওড়না পরে রান্না ঘরে যাবেন না। এতে আগুন লাগার সম্ভাবনা বাড়ে। বাতাস প্রবেশ করতে পারে এমন জানালার পাশে চুলা থাকলে লক্ষ রাখুন যাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
** এ গরমে চা বা কফি এড়িয়ে চলুন। এতে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি আরও বাড়ে। শরীর খারাপ লাগলে ঠান্ডা জায়গায় বসিয়ে বাতাস করুন। ভেজা কাপড় দিয়ে সারা শরীর মুছে দিন। এতে হিট স্ট্রোক থেকে রোগীকে অনেকখানি বাঁচানো সম্ভব।
** মৌসুমি রসালো ফল যেমন তরমুজ, মালটা, ভিটামিন সিযুক্ত খাবার বেশি বেশি খান। ভাজাপোড়া, ঝাল, বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন।
** সুতি কাপড় পরুন, দিনে অন্তত দুবার গোসল করুন। খুব বেশি ভারী কাজ করবেন না। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম হচ্ছে কিনা সেই দিকেও খেয়াল রাখুন।