গাছ ও জলাশয় নেই ঢাকায় ♦ জলাধার আছে মাত্র ২ দশমিক ৯১ শতাংশ ♦ সবুজায়ন ৯ দশমিক ১২ শতাংশ ♦ কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকা ৮০ শতাংশ

গাছ ও জলাশয় নেই ঢাকায় ♦ জলাধার আছে মাত্র ২ দশমিক ৯১ শতাংশ ♦ সবুজায়ন ৯ দশমিক ১২ শতাংশ ♦ কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকা ৮০ শতাংশ

রাজধানীর পান্থকুঞ্জ পার্কটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন। ২০১৭ সালে পার্কটির উন্নয়ন কাজ শুরু করে সংস্থাটি। কিছুদিন পর তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে পার্কটিতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‌্যাম্প বসানোর কার্যক্রম চলছে। সেজন্য পার্কটির অর্ধেকের বেশি এলাকার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বাকি অংশের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করছে সিটি করপোরেশন। একই অবস্থা ওসমানী উদ্যানের। বর্তমানে পার্কটি উন্নয়নের কাজ চলছে। এ পার্কটি উন্নয়নের নামে ১৭৩টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। একই সঙ্গে জলাধারের একটি অংশ ভরাট করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ফার্মগেটে আনোয়ারা পার্ক একসময় পার্ক হিসেবে থাকলেও এখন মেট্রোরেলের অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। পার্কটি এখন অস্তিত্ব সংকটে। একই অবস্থা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের। ওয়াকওয়ে ও ফুড কোর্ট বানানোর জন্য শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

রাজধানীতে শুধু গাছ কেটে সবুজায়ন কমানো নয়, একই সঙ্গে ভরাট হয়েছে জলাধার। নগরীতে কমেছে জলাধারের পরিমাণ। চলতি বছরের শুরুতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাজউক এলাকার ৬৮টি পুকুর অবৈধভাবে দখল হয়ে গেছে, যার মধ্যে ঢাকায় ৬২টি। ঢাকার পুকুরগুলোর মধ্যে ভেস্টেড প্রপার্টি হিসেবে চিহ্নিত পুকুর রয়েছে সাতটি, বাকি ৫৫টি খাসপুকুর। নারায়ণগঞ্জ ও সাভারে তিনটি করে ছয়টি পুকুর অবৈধ দখলে রয়েছে। পুকুরগুলো ভরাট করে গড়ে উঠেছে ঘরবাড়ি, দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ফিলিং স্টেশন, স্টিল মিল, মার্কেট, গ্যারেজ, ফলের আড়ত, মসজিদ, মন্দির ইত্যাদি। এসব পুকুর বা জলাধার শুধু ব্যক্তিকেন্দ্রিক দখলে নয়, সরকারিভাবেও ভরাট হয়েছে।বিস্তারিত

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ