কোনোভাবেই ‘উপজেলার’ কর্তৃত্ব হাতছাড়া করতে নারাজ এমপিরা। আত্মীয়স্বজনদের পাশাপাশি ‘মাইম্যান’ বসাতে তাঁরা মরিয়া। এজন্য যেখানে যেমন শক্তি প্রয়োগ বা কৌশল প্রয়োজন তার সবই করছেন তাঁরা। কেউ কেউ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন ‘সরকারি’ অর্থ। টিআর ও কাবিটার টাকায় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং থানা-ওয়ার্ড নেতাদের দিয়ে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে ভোট করাচ্ছেন অনেক এমপি। ডজনখানেক এমপির বিরুদ্ধে কাবিটা বরাদ্দের লোভ দেখিয়ে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করানো, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনে। যেসব উপজেলায় ভোট হচ্ছে, সেসব এলাকার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তারা বলছেন, সংসদীয় এলাকায় এমপিরাই অভিভাবকের আসনে। সবকিছুতে তাঁরাই ছড়ি ঘোরান। এমপিদের বাইরে গেলে সরকারি কোনো বরাদ্দ পাবেন না বা পেলেও প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপপ্রতুল। এ ছাড়া আগামী বছরই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। সামনের ইউপিতেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী না দেওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে এমপিদের ‘ইশারা’ বিজয়ের অনেকটা নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন মাঠের নেতারা। তাই চাইলেও এখন এমপিদের বাইরে যেতে পারছেন না। অনেকটা বাধ্য হয়েই এমপির পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে ভোটে মাঠে নেমেছেন তারা।বিস্তারিত