সমস্যা কাটছেই না আওয়ামী লীগের তৃণমূলে। মাঠপর্যায়ে বিভেদের দেয়াল বড় হচ্ছে। ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বনাম স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে যে বিভেদ তৈরি হয়েছে তা উপজেলা নির্বাচন ঘিরে ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে। প্রায় প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় দুই বলয়ে হাঁটছেন নেতা-কর্মীরা। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে রক্তারক্তি আর খুনোখুনির মতো নির্মমতার ঘটনা ঘটছে।
বিচ্ছিন্ন সংঘাত, হামলা, মামলা-পাল্টা মামলা দলে এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এমপি লীগ-ভাই লীগ বনাম আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বে অস্থির, অশান্ত হয়ে উঠছেন টানা চারবারের ক্ষমতায় থাকা দলের নেতা-কর্মীরা।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরামের একাধিক নেতা জানান, বিএনপির ভোট বর্জনের পটভূমিতে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উৎসাহ দেওয়ার পর বিবাদে জড়ান স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। নির্বাচনের পর বেশির ভাগ স্বতন্ত্র এমপি দলে ‘চালকের আসনে’ বসতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আবার যারা এমপি হতে পারেননি, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তাদের এবং কর্মী-সমর্থকদের ‘সাইজ’ করার মিশনে নেমেছেন বিজয়ী নৌকার এমপিরা। হামলা-মামলা দিয়ে নাস্তানাবুদ করছেন। গ্রামের সামান্য
ঘটনাকেও থানায় মামলা করার পরামর্শ দিচ্ছেন এমপিরা। উপজেলা নির্বাচন শুরু হওয়ায় দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন নেতা-কর্মীরা। উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংকট সমাধান না করলে আগামী বছর শুরু হতে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এ সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন নিজ দলের বিশৃঙ্খলা কঠিন হাতে দমন করতে হবে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডকে। না হলে প্রতিপক্ষের প্রয়োজন হবে না, নিজ দলের মধ্যেই খুনোখুনি ও প্রাণহানির ঘটনা বাড়বে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, তারা তৃণমূলের সংকট চিহ্নিত করতে পেরেছেন। বিস্তারিত