গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ছোট বউলের পাড়া গ্রামের জাহানারা বেগম বিশ্বাস করতে চাইছিলেন না মঙ্গলবার পলাশবাড়ী উপজেলার ভোট গ্রহণ। তিনি বলেন, এ উপজেলায় ভোট হচ্ছে। কিন্তু কোনো প্রার্থী ভোট চাইতেও আসেননি। এলাকায় কোথাও ভোটের আমেজও নেই। ভোটের দিন মঙ্গলবার গাইবান্ধা সদরের বাসিন্দা আসিফ ইকবালসহ আটজন মধ্যবয়সী বন্ধু দুপুরে আড্ডা দিচ্ছিলেন শহরের মাস্টারপাড়া এলাকায়। তাদের কেউ ভোট দেননি। কারণ জানতে চাইলে বলেন, ভোট দেওয়া না দেওয়ার মধ্যে কিছুই ফারাক নেই। তাই আগ্রহ নেই ভোট দেওয়ার প্রতি। জেলা শহরে ভোটের আগের দিন পুলিশ বেশকিছু মোটরসাইকেল আটক করে। কিন্তু চালকদের দাবি, ভোটের কারণে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কথা কেউ জানেন না।
অন্যদিকে ভোট গ্রহণের দিন কুষ্টিয়ায় ভোটারের উপস্থিতির চিত্র ছিল হতাশাজনক। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় নারী ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের ছয়টি বুথ ছিল। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর বেলা ২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় কেন্দ্রের ৬ নম্বর বুথে মাত্র ছয়টি ভোট পড়েছিল। এর মধ্যে একটি ভোট দিয়েছেন এক প্রার্থীর এজেন্ট।
এই চিত্র শুধু গাইবান্ধা ও কুষ্টিয়ার নয়। দেশের বেশির ভাগ উপজেলায় ছিল ভোটারের ভাটা। ভোট দেওয়ায় অনীহা চরমে পৌঁছায় উপস্থিতির হার ছিল রেকড পরিমাণ কম। গত এক দশকে উপজেলা নির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে। তাই ভোট গ্রহণ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের অলস সময় পার করতে দেখা গেছে জেলায় জেলায়। ঢাকা জেলার সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শুধু ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গলবার। চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নির্বাচিত হয়েছেন মঞ্জুরুল আলম রাজীব। তবে সাভারে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে মাত্র ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ দশমিক ০৮ শতাংশ। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে গড়ে ভোট পড়েছে ৩৭.৫৭ শতাংশ। গতকাল এ ধাপের একীভূত ফলাফল বিশ্লেষণে এ তথ্য মিলেছে। এ ধাপে সবচেয়ে ভোটের হার বেশি পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায়। এ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৭৪. ৯৫ শতাংশ। সব থেকে কম ভোট পড়েছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায়। এ উপজেলায় ভোটের হার ১৭.৯৮ শতাংশ।বিস্তারিত