তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা

তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

 

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ৮৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ঢাকা পোস্টের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

 

ফরিদপুর

তৃতীয় ধাপে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪০ হাজার ৩৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শফিকুর রহমান পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫০৮ ভোট।

 

ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে কাওসার ভুইয়া বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬২ হাজার ৮৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপসমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৩০ ভোট।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

নীলফামারী

নীলফামারীতে তৃতীয় ধাপে কেবল সদর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুজার রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৫৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান দীপক চন্দ্র চক্রবর্তী ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৪৬ ভোট।

বুধবার (২৯ মে) রাতে ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মেহেদী হাসান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

তৃতীয় ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও আশুগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাঞ্ছারামপুরে তৃতীয়াবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। ঘোড়া প্রতীকে তিনি ৮২ হাজার ৮১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল ইসলাম তুষার আনারস প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ১৬২।

অন্যদিকে আশুগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মো. জিয়াউল করিম খাঁন সাজু। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ২৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সী ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩৪০ ভোট।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জেসমিন সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই ফলাফল বেসরকারিভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। কোনো উপজেলাতেই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

রাঙামাটি

রাঙামাটির লংগদু ও নানিয়ারচর উপজেলায় এ ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে লংগদু উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকারকে চার হাজার ১৬০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন।

মোট ২৩টি ভোটকেন্দ্রে আনারস প্রতীকে বাবুল দাশ বাবু পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৮৬ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল বারেক সরকার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৮২৬ ভোট।

অন্যদিকে নানিয়ারচর উপজেলার ১৪টি ভোটকেন্দ্রের সবকয়টির ফলাফলে ৬ হাজার ১৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতীকের অমর জীবন চাকমা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জ্যোতিলাল চাকমা পেয়েছেন ৪ হাজার ১৬২ ভোট।

খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়িতে কেবল মহালছড়ি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বিমল কান্তি চাকমা কাপ পিরিচ প্রতীক ১০ হাজার ১৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) প্রার্থী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংজরী চৌধুরী আনারস প্রীতিকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৫২ ভোট।

ভোট গণনা শেষে রাতে বেসরকারিভাবে নির্বাচিতদের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রাজু আহমেদ।

সাতক্ষীরা

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলায় লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মশিউর রহমান বাবু ৩১ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের এসএম শওকত হোসেন পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪২ ভোট।

অপরদিকে কলারোয়া উপজেলা আমিনুল ইসলাম লাল্টু চেয়ারম্যান পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। ঘোড়া প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৮৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলতাফ হোসেন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৭৪১ ভোট।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক। বেসরকারিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

শরীয়তপুর

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে শরীয়তপুরের ডামুড্যা ও গোসাইরহাট উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডামুড্যা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আবদুর রশিদ গোলন্দাজ। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আলমগীর মাঝি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭১৫ ভোট।

অন্যদিকে গোসাইরহাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মোশারফ হোসেন সরদার। হেলিকপ্টার প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ১৮৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুদ আলম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩৯৩ ভোট।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান খলিফা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবু দাউদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

টাঙ্গাইল

তৃতীয় ধাপে টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলায় ৪২ হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা দোয়াত কলম প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ২০৮ ভোট।

নাগরপুরে প্রয়াত আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেনের ছেলে কেএম সালমান শামস আনরস প্রতীকে ৩৫ হাজার ৭৪৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুস সামাদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩০৬ ভোট।

এছাড়াও দেলদুয়ারে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহমুদুল হাসান মারুফ কাপ পিরিচ প্রতীকে ২৯ হাজার ২৯৭ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক পেয়েছেন ১৮ হাজার ৯৫৩ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মতিয়ূর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মানিকগঞ্জ

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। সদর উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৪ হাজার ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব সাহা। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আপন ফুপাতো ভাই মো. ইসরাফিল হোসেন পেয়েছেন ৩১ হাজার ৫৫৯ ভোট।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা লিটন ঢালী রাতে ১১০টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শান্তা ইসলাম ৬০টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেছেন। এতে জাসদের (আম্বিয়া ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক মো. শাহজাহান আলী সাজু মোটরসাইকেল প্রতীকে ২২ হাজার ৮৩২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমজাদ হোসেন লাল মিয়া কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৬১ ভোট।

শীর্ষ সংবাদ সারাদেশ