সরকারি ৩০ প্রতিষ্ঠানের কাছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ৬৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ১৮৩ কোটি টাকা আবার খেলাপি হয়ে গেছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাষ্ট্র মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর পুঞ্জীভূত বকেয়া ঋণের তথ্য সংগ্রহ করে অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ২০২৪-এ এই হিসাব তুলে ধরেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলা হলেও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো এখনো ধারদেনা করেই চলছে। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে বছর বছর বকেয়া বাড়ছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। দেখা যাচ্ছে, গত এক বছরে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ৩০ সংস্থার অনাদায়ী ঋণ বেড়েছে ৫ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এসব ঋণ নেওয়া হয়েছে সরকার মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নিজের নাম প্রকাশ না করে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, রাষ্ট্র মালিকানাধীন সংস্থাগুলোকে সরকারের পরামর্শেই ঋণ দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিপুল পরিমাণ ঋণ বকেয়া পড়ে থাকায় রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া ওই অর্থ বিনিয়োগের বাইরে থেকে যাচ্ছে। এসব ঋণের বিপরীতে সময় সময় সরকারের পক্ষ থেকে কাগুজে বন্ড ছাড়া হলেও এর সুদের হার বিনিয়োগযোগ্য তহবিলের পরিচালন ব্যয়ের চেয়ে কম। ফলে ব্যাংকগুলোর লোকসানের কারণ হয়েও দাঁড়িয়েছে এই অনাদায়ী ঋণ।বিস্তারিত