– বিদেশে অর্থ পাচারের তালিকায় আরো আছেন শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, আমলা, পুলিশ কর্মকর্তা
– এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে এক লাখ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ
– সালমান এফ রহমান একাই পাচার করেন ৩০ হাজার কোটি টাকা
গত ১৫ বছরে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-এমপিসহ প্রভাবশালীরা যে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তার বেশির ভাগই তারা বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ৭০ জনের বেশি মন্ত্রী-এমপি, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, আমলা ও পুলিশ কর্মকর্তা এই পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে। তবে অর্থ পাচারকারীর তালিকা আরো দীর্ঘ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, দুদকের আমলে নেয়া অভিযোগ এবং কমিশনের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে প্রায় সব মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউতে তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিদেশে সম্পদের তথ্য চেয়েও এমএলএআর করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর গত এক মাসে অভিযোগ আমলে নেয়া ব্যক্তিদের ৮৩ জনই মন্ত্রী-এমপি। এর মধ্যে অর্ধশতাধিক মন্ত্রী-এমপির বিদেশে সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
যাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা ও এমপি সালমান এফ রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল), সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা: দীপু মনি, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী প্রমুখ।বিস্তারিত