নতুন আতঙ্ক জিকা ভাইরাস ♦ তিন মাসে আটজন শনাক্ত ♦ সতর্কতার পরামর্শ

নতুন আতঙ্ক জিকা ভাইরাস ♦ তিন মাসে আটজন শনাক্ত ♦ সতর্কতার পরামর্শ

দেশে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস। গত তিন মাসে আটজন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত বছরও পাঁচজন জিকা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। ডেঙ্গুর প্রকোপের মধ্যেই নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে জিকা ভাইরাস নিয়ে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে, জিকা ভাইরাস সংক্রমণ ১৯৪৭ সালে প্রথম উগান্ডার জিকা নামক বনাঞ্চলের বানরের মধ্যে শনাক্ত হয়। ১৯৫২ সালে উগান্ডা ও তানজানিয়ায় মানুষের মধ্যে প্রথম এ রোগের সংক্রমণ ঘটে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো এটি প্রধানত এডিস মশাবাহিত রোগ। পরে ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে এ রোগটি আফ্রিকা ও এশিয়ার মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং মাইক্রোনেশিয়ার ইয়াপ দ্বীপে ২০০৭ সালে প্রথম বড় ধরনের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ব্রাজিলে ২০১৫ সাল থেকে চলে আসা জিকা প্রাদুর্ভাব নিয়ে গবেষণা চলছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে জিকার সঙ্গে শিশুর জন্মগত মাইক্রোসেফালি (ক্ষুদ্রতর মস্তিষ্ক) ও ¯œায়ুর অবশজনিত রোগ (গিলেন-বারি সিনন্ড্রোম)-এর সম্পর্ক ধরা পড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি বলে ঘোষণা করেছে।

প্রাথমিকভাবে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত এডিস ইজিপ্টাই ও এডিস অ্যালবুপিক্টাস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এ ধরনের মশা সাধারণত দিনের বেলা (ভোর বেলা অথবা সন্ধ্যার সময়) কামড়ায়। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া সংক্রমণের জন্যও এই মশাই দায়ী। আক্রান্ত পুরুষ রোগীর সঙ্গে অনিরাপদ যৌন সংসর্গ করলে (কনডম ব্যবহার না করলে) পুরুষ থেকে নারীদের মধ্যে এ রোগ ছড়াতে পারে। গর্ভবতী নারী গর্ভের প্রথম তিন মাসের মধ্যে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে, গর্ভের সন্তান এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।বিস্তারিত

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ স্বাস্থ্য