ঋণের জন্য সরকারের দেওয়া গ্যারান্টির মেয়াদ পার হয়ে গেছে অনেক আগে। এরপরও প্রতিষ্ঠানটির খেলাপিসংক্রান্ত তথ্য দীর্ঘদিন ফাইলচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে, ঋণখেলাপি ঘোষণা করা হচ্ছে না। উলটো সরকারি সুবিধায় তাদের ঋণ অশ্রেণিকৃত করে রাখা হয়েছে। বড় অঙ্কের এই খেলাপিকে ‘স্বাভাবিক ঋণ’ হিসাবে উল্লেখ করে পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক মিথ্যা রিপোর্ট দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিআইবিতে। কাজটি করতে গিয়ে সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী ও কৃষি ব্যাংক মূলধন সংকট, প্রভিশন ঘাটতিসহ নানা সংকটে পড়ছে।
একই সঙ্গে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের (ব্যাংক) সুনাম ক্ষুণ্নসহ ব্যবসার বাড়তি ব্যয় গুনতে হচ্ছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই সরকারি প্রতিষ্ঠানটির ঋণখেলাপির এ তথ্য ধামাচাপা দেওয়া হয়। ঋণ নেওয়ার পর সংস্থাটি কীভাবে খেলাপি হয়েছে এ বিষয়ে বিএফএসআইসি’র কাছে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই।
সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে (এফআইডি) অবহিত করা হয়।
এদিকে মেয়াদোত্তীর্ণের পরও বিপুল অঙ্কের ঋণকে ‘স্বাভাবিক ঋণ’ হিসাবে দেখানোর ব্যাখ্যা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কাছে তলব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিআইবি। রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।বিস্তারিত