এক সময় কাকডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ভিড় লেগে থাকত মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বাড়িতে। এই চিত্র ছিল জেলার অন্য দুই আসনের এমপির বাড়িতেও। কিন্তু ৫ আগস্টের পর চিত্র উলটে গেছে। খাঁ খাঁ করছে তাদের কোলাহলপূর্ণ বাড়ি। এখন কেয়ারটেকার ছাড়া কেউ থাকেন না। বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে প্রতিবেশীসহ নিকটতম আত্মীয়স্বজনরাও ওইসব বাড়িতে যান না। আর সতীর্থ রাজনীতিবিদদেরও ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা অবস্থা’!
সরেজমিন জাহিদ মালেকের মানিকগঞ্জের গড়পাড়া এলাকার বাড়ির প্রধান ফটকে তালা। ফটকের পকেট গেট দিয়ে একাধিকবার কড়া নাড়লে ভেতর থেকে বেরিয়ে আসেন কেয়ারটেকার হযরত আলী। বাড়ি সাটুরিয়ায়। ভেতরে যাওয়ার অনুমতি চাইলে তিনি জানান, সকালে তাকে (হযরত আলী) ভেতরে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে যায় আরেকটি টিম। তিনি ও আরও দুজন বাসা দেখভালের দায়িত্বে আছেন।
হযরত আলী ৩ মাস ধরে কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করলেও এ পর্যন্ত মাইনে পেয়েছেন মাত্র ১ মাসের। এখনো ২ মাসের মাইনে বাকি। তিনি জানান, আগস্টের আগেই সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজন তিনতলা বাড়ির সব রুমে তালা ঝুলিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তিনি বলেন, ‘বাড়িটিতে কমপক্ষে বারোটি কক্ষ রয়েছে। ভেতরের আসবাবপত্র, ফ্লোর স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেছে। করার কিছুই নেই; কারণ রুমের চাবি সাহেবরা নিয়ে গেছেন। আমরা শুধু বাইরের নিরাপত্তা দেখভাল করছি মাত্র।’বিস্তারিত