শব্দদূষণ থেকে মুক্তি মিলছে না সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

শব্দদূষণ থেকে মুক্তি মিলছে না সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

শব্দদূষণের কবল থেকে মুক্তি মিলছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, আবাসিক এলাকায় নিরাপদ শব্দসীমা ৫৫ ডেসিবেল। ২০২৪ সালের বৈশ্বিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল সিটিস ইনস্টিটিউশনের সমীক্ষা অনুযায়ী, বাণিজ্যিক ও যানজটপ্রবণ এলাকায় দূষণের মাত্রা ৮৫ ডেসিবেলের বেশি। হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো এলাকায়ও শব্দদূষণে টিকে থাকা দায়। যানবাহনের হর্নের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত উচ্চশব্দে মাইক এবং সাউন্ড সিস্টেমের শব্দ চলে গভীর রাত পর্যন্ত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শব্দদূষণ বন্ধ করতে হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। চালকরা যখন ইচ্ছা গাড়ি থামাচ্ছেন। আড়াআড়ি গাড়ি রেখে রাস্তা আটকে দিচ্ছেন। কখনো ডানে, কখনো বাঁ পাশ দিয়ে ওভারটেক করছেন। গাড়ি পার্ক করে রাখছেন রাস্তায়। এসব ঠিক না করে যদি বলা হয় হর্ন বাজানো যাবে না, এটা কিন্তু কাজ করবে না। ব্যর্থ হবে। শব্দদূষণ রোধে আইন আছে। জেল-জরিমানার বিধানও আছে। তার প্রয়োগ হয় কতটা, তা নিয়ে বিশেষ তথ্য পাওয়া যায় না।

বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করা ইকরামুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাসা মগবাজারে। সম্প্রতি রাত ২টায় আমি ৯৯৯-এ কল করি। পাশের বাসার ছাদে উচ্চশব্দে হওয়া গান পুলিশ গিয়ে বন্ধ করে দিলেও আধা ঘণ্টা পর আবার শুরু হয়। চলে রাত ৪টা পর্যন্ত।’

রাজধানীর নতুনবাজারে বাস করা মেহেদী জামান জানান, সম্প্রতি রাত ৩টা পর্যন্ত এক বাড়ির ছাদে উচ্চশব্দে গান বাজানো হয়। পুলিশে বারবার অভিযোগ করেও প্রতিকার পাওয়া যায়নি।বিস্তারিত

জাতীয় পরিবেশ