স্বাস্থ্য খাতে সংস্কারের আলোচনার মধ্যেই মেডিকেল শিক্ষায় পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছে সরকার। আগামী বছর থেকে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউয়ের পাশাপাশি নেওয়া হতে পারে লিখিত পরীক্ষা। চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার আগে থাকবে মূল্যায়নের আরও কিছু ধাপ। দক্ষ ও মানবিক চিকিৎসক তৈরি করতেই পরীক্ষাপদ্ধতিতে সংস্কার আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হোসেন বলেন, ‘এক সময় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ছিল। এখন লিখিত সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।’ ভর্তি পরীক্ষায় নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য বিভাগ দুই বছর সময় নিতে চায় বলে জানা গেছে।
দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মেডিকেল কলেজ ১০৪টি। প্রতি বছর ১১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী চিকিৎসাবিদ্যায় পড়ার সুযোগ পান। গত ১৭ জানুয়ারি দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেতে ওই পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ৪ হাজার ৪৪ শিক্ষার্থী। অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৬০ হাজার ৯৫ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এর মধ্যে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৭২ পরীক্ষার্থী।
সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি শেষ হওয়ার পর বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। সরকারি ও বেসরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম অনুসারে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। মেধাক্রমের ওপরের দিকে থাকা শিক্ষার্থীরা ভালো কলেজে ভর্তি হন। যেসব মেডিকেল কলেজ সুনাম অর্জন করেছে, তাদের শিক্ষার্থীর সংকট নেই। সংকটে পড়েছে সেসব কলেজ, যাদের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নেই, প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নেই, নেই হাতে-কলমে শিক্ষার ব্যবস্থা। মূলত এরাই শিক্ষার্থী পাচ্ছে না।বিস্তারিত