রমজানে এবার গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকটে গ্রাহকদের ভুগতে হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন। একদিকে প্রাকৃতিক গ্যাসের সংকট, অন্যদিকে আমদানি করেও চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না। আবাসিকে অনেক গ্রাহক দিনের বেশির ভাগ সময় গ্যাস পাচ্ছেন না। আবার স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে রোজায় গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সময় গ্যাসসংকট আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং শুরু হয়েছে। জ্বালানিসংকটের কারণে অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় রোজার মাসে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদ্যুতের চাহিদাও বাড়বে। শুরু হবে লোডশেডিং। রোজায় দিন যত বাড়বে ততই গরমের প্রভাবে গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট দেখা দেবে। পরিস্থিতি প্রতিকূলে গেলে শিল্পকারখায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, দিনে এখন গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ পেলে চাহিদা মোটামুটি পূরণ করা যায়। বর্তমানে সরবরাহ করা হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৬৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস। রোজায় এটি বেড়ে ২৮০ থেকে ২৮৫ কোটি ঘনফুট হতে পারে। এবার বিদ্যুতে গত বছরের চেয়ে বেশি গ্যাস সরবরাহ করা হবে। তবে বিদ্যুতে গ্যাস সরবরাহ বাড়ালে শিল্পে আরও চাপ বাড়বে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে গতকাল বলেন, রমজানে এলএনজিসহ কয়লা কেনার জন্য আর্থিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিস্তারিত