দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিতে মহাসচিব হবেন তিনজন। একজন হবেন সাংগঠনিক বিষয়ক মহাসচিব, আরেকজন আন্তর্জাতিক বিষয়ক মহাসচিব এবং অন্যজন দায়িত্ব পালন করবেন প্রশাসনিক বিষয়ক মহাসচিব হিসেবে। দলের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে কিংবা চেয়ারপারসনের গঠনতান্ত্রিক ক্ষমতা বলে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে মহাসচিবদের। এ ছাড়াও দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কাঠামোতে আরও বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। যুক্ত হতে পারে কো-চেয়ারম্যান পদ। তবে এটি শুধু দলের জাতীয় সম্মেলন/জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমেই হতে পারে। এসব বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দলীয় হাইকমান্ড তারেক রহমান সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্যদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছেন। সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, জনগণের ভোটে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হলে- নির্বাচন পরবর্তী সরকার গঠন প্রক্রিয়ার বিষয় নিয়েও আলাপ-আলোচনা ও কার্যক্রম চলছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত নির্বাচনোত্তর ঐকমত্যের জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। বিশেষ করে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার বিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর নেতাদের কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে- সেসব বিষয় নিয়েও আলোচনা চলছে। কাকে কোথায় মনোনয়নে ছাড় দেওয়া হবে, কিংবা কাকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হতে পারে- এসব বিষয় নিয়েও কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া দলের ভিতরে কারা মনোনয়ন পাবেন এবং কারা মন্ত্রিত্ব পাবেন অথবা কারা কোন অবস্থানে থাকবেন- সেসব নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট নেতাদের নিজ নিজ পারফরম্যান্সের ওপর। দলের সব নেতার আমলনামা ইতোমধ্যে হাইকমান্ডের কাছে জমা হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু উচ্চপর্যায়ের নেতার নাম চাঁদাবাজির অভিযোগের খাতায় যুক্ত হয়েছে। তাদের ব্যাপারে শক্ত অবস্থান নেবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।বিস্তারিত