অভিযানে কোথাও হামলার শিকার আবার কোথাও বাধার মুখে পড়ছে পুলিশ। কোথাও ঘেরাও করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে, আবার কোনো কোনো থানায় করা হচ্ছে ভাঙচুর। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এমন ঘটনা ঘটছে একের পর এক। এসব কারণে অপরাধ দমনে কঠোর হতে পারছে না পুলিশ। পুলিশ কেন মাঠে সক্রিয় বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর হতে পারছে না? এমন প্রশ্নে উত্তর খুঁজতে কথা হয় মাঠপর্যায়ে কাজ করা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে। তাঁরা বলছেন, ফ্যাসিবাদের দোসর পুলিশ কর্মকর্তারা যে পদ্ধতিতে পুলিশকে চালাতেন, এখনো তাঁরাই চালাচ্ছেন। যেকোনো কাজের জন্য বা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ের পুলিশের পরিদর্শক কিংবা এসআইদের সরাসরি নির্দেশ দেন। কিন্তু যাঁরা মাঠপর্যায়ে কাজ করেন, তাঁরা কীভাবে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবেন কিংবা কোন কৌশল অবলম্বন করবেন, তা ঠিক করে দেন না। আবার কাজের দায়িত্বও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নেন না। যে কারণে মাঠে থাকা পুলিশ সদস্যরা হতাশ হয়ে পড়েন।
মাঠের কর্মকর্তাদের তদন্তকাজে যাতায়াত খরচের ব্যবস্থা না থাকলেও এসএসপি থেকে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ৮০ থেকে ৬০০ লিটার পর্যন্ত জ্বালানি তেলের বরাদ্দ আছে। আবার পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) সফটওয়্যারে অ্যান্ট্রি দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ কোনো তদন্ত কর্মকর্তাকে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ সরবরাহ করা হয় না। মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কারও কারও মধ্যে আইনকে তাচ্ছিল্য করার যে প্রবণতা, এটি কাটিয়ে উঠতে না পারলে শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কঠিন। আবার অনেক পুলিশ সদস্য আইনি কাঠামোর মধ্যে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধায় থাকেন। তাদের মধ্যে শঙ্কা হলো, এ পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে তাদের কোনো প্রশাসনিক জবাবদিহির মধ্যে পড়তে হতে পারে। আবার কেউ কেউ ‘মব ভায়োলেন্স’ নিয়ে ভীত। কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল আতঙ্কে থাকেন।বিস্তারিত