ভাঙছে স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট বদলি বাণিজ্য বন্ধ

ভাঙছে স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট বদলি বাণিজ্য বন্ধ

একটা সময় সুনির্দিষ্ট একটা সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি ছিল স্বাস্থ্য খাত। মন্ত্রণালয়ের সামান্য কর্মচারী আবজাল-মিঠুও নানা রকম তদবির বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছিল কোটি কোটি টাকা। হাসপাতালের জন্য কি যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে হবে, মেডিক্যালে ভর্তির বিষয়াদি, বিভিন্ন পদে নিয়োগ-বদলি, বিদেশে প্রশিক্ষণসহ সব কিছুই এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করত।

 

গুটিকয়েক চিকিৎসকের হাতেই ছিল যেন সব নিয়ন্ত্রণ। তাদের সঙ্গে জড়িত ছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কিছু কর্মকর্তাও। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর এসব সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছে। বিশেষ করে এই সরকারের আমলে বদলি বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে পুরোপুরিভাবে। উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বাতিল করা হয়েছে সব ধরনের সংযুক্তি (অ্যাটাচমেন্ট)। ফলে অল্পদিনের মধ্যেই এই খাতে এসেছে স্থিতিশীলতা।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তৈরি হয় অস্থিরতা। কয়েকদিনের ব্যবধানে মহাপরিচালক বদল হয় দু’বার। মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েও কর্মস্থলে যোগদান করতে পারেননি অধ্যাপক ডা. রোবেদন আমিন। বাধ্য হয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেওয়া হয় অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরকে। কিন্তু তার পরও নানা বিষয়ে চলতে থাকে বিপত্তি।

Ezoicনিয়োগ পাওয়া পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবু হানিফসহ অন্যদের যোগদানকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি হামলা পর্যন্ত হয় বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ও জামায়াতপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) নেতাদের মধ্যে।
এমন পরিস্থিতিতে অধিদপ্তরের হাল ধরেন অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের নির্দেশনায় অধিদপ্তরে সব ধরনের নিয়োগ বাণিজ্য শক্ত হাতে দমন করেন তিনি।
অভিযোগ ছিল, দীর্ঘদিন বঞ্চিত চিকিৎসকদের যৌক্তিক পদোন্নতির দাবির ফাঁকে অনৈতিক কিছু দাবি আদায় করে নেওয়ার। চাপের মুখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এতে সহমত পোষণ করে আসছিল বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে এখন আর সেই সুযোগ নেই বলে জানিয়ে অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর জনকণ্ঠকে বলেন, যোগ্যতা এবং মেধার ভিত্তিতেই আমরা এখনো পদোন্নতি এবং বদলি করছি। এখানে তদবিরের কোনো সুযোগ নেই।
সিন্ডিকেট ভেঙে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে ৪ হাজার চিকিৎসককে ॥ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চিকিৎসকদের বদলি-পদোন্নতি একচেটিয়াভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা। তাদের কঠিন সিন্ডিকেটের বদৌলতে দিনের পর দিন পদবঞ্চিত থেকেছেন ভিন্ন মতের চিকিৎসকরা। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সেই সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে বঞ্চিতদের তালিকা ধরে অন্তত ৪ হাজার চিকিৎসককে পদোন্নতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। বিস্তারিত

শীর্ষ সংবাদ স্বাস্থ্য