সংকুচিত হচ্ছে অর্থনীতি

সংকুচিত হচ্ছে অর্থনীতি

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন স্বৈরশাসনের অবসানের আট মাস পেরিয়ে গেলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি। রাজনৈতিক-সামাজিক পরিস্থিতিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরলেও অব্যাহতভাবে সংকুচিত হয়ে আসছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। ব্যবসাবাণিজ্যের মন্দা পরিস্থিতি কাটছেই না। বাড়ছে বেকারত্ব। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক মতভেদের কারণে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে ভাটা পড়েছে। যদিও বিনিয়োগ সামিট করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীই রয়েছেন পর্যবেক্ষকের ভূমিকায়। পাশাপাশি আস্থার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে দেশীয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। নতুন কোনো শিল্পকারখানা তো হচ্ছেই না; বরং গত ছয় মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শত শত কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে কাজ হারিয়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বড় ধরনের ধাক্কার মধ্য দিয়ে পরিবর্তন এসেছে। বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ীসহ অর্থবাণিজ্য সম্পর্কিত সব খাতের ওপর প্রভাব তো পড়েছেই। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবেন। সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী হতে পারে সেটা নিয়ে তারাও শঙ্কায় রয়েছেন। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিও সংকুচিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি বছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে আসতে পারে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে। শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী- ২০২৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়াবে, যা গত অক্টোবরে করা পূর্বাভাসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কম। এদিকে আবার দেশে নতুন করে ৩০ লাখ মানুষ অতি দারিদ্র্যের মধ্যে পড়বে বলে ধারণা করছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, এ বছর বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ২২ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যা ২০২২ সালে ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ।বিস্তারিত

অর্থ বাণিজ্য শীর্ষ সংবাদ