চিকিৎসা শেষে চার মাস পর মঙ্গলবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার এই ফিরে আসায় দলের নেতাকর্মীসহ লাখো জনতা রাজপথে নেমে তাকে অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দর, বনানী হয়ে গুলশান সড়কজুড়ে জনতার ঢল নামে। কারও হাতে ফুল, ব্যানার-প্ল্যাকার্ড, কেউবা প্রিয় নেত্রীর ছবি সংবলিত টি-শার্ট পরা, আবার কেউ স্রেফ একনজর চেয়ে ছিলেন সেই মুখপানে; যেখানে জমে আছে আবেগ ও ইতিহাস। খালেদা জিয়া হাসলেন, হাত নাড়লেন, এতেই কাঁপল লাখো নেতাকর্মীর মন। তার এই প্রত্যাবর্তন শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনাই নয়, এটা প্রিয় মানুষের ঘরে ফেরা; যা মানুষের মনে জাগিয়েছে নতুন আশা, নতুন ভোরের স্বপ্ন। তিনি ছিলেন, আছেন, থাকবেন-এ কথা যেন আরেকবার প্রমাণ হয়ে গেল বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের ভালোবাসার ফুলেল অভ্যর্থনায়। সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ফিরোজায় পৌঁছালেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। দেশবাসীর প্রতিও শুভেচ্ছা-কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ বিমান এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সকাল ১০টা ৪২ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় সঙ্গে ছিলেন দুই পুত্রবধূ-বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমান এবং ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মিণী সৈয়দা শর্মিলা রহমান। বিমানবন্দরে তাদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ সিনিয়র নেতারা। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে যাত্রা করে। বিস্তারিত