‘আমি চাকরিজীবনে কারও ক্ষতি করিনি। বিভিন্ন সাংবাদিকের উপকার করেছি। বিভিন্ন সময় তিনজন সাংবাদিক আমাকে নিয়ে লিখেছেন। আল্লার কী খেল, তিনজনই অকালে মারা গেছেন।’
রাজধানীতে ৩৬টি ফ্ল্যাট থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিদর্শক কাজী আমীর খশরু এই বক্তব্য দিয়েছেন। দ্রুত তাঁর কাছে তিন সাংবাদিকের নাম জানতে চাওয়া হয়। তিনিও সঙ্গে সঙ্গে তিনজনের নাম জানালেন।
তাৎক্ষণিক খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই তিন সাংবাদিকই জীবিত আছেন। একজন বর্তমান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, আরেকজন একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক। অন্যজন একটি দৈনিকে কর্মরত। এ তথ্য জানালে কাজী আমীর খশরু কিছুটা নমনীয় হন। তাঁর সম্পদপ্রাপ্তির নিজস্ব ব্যাখ্যাও দেন।
রাজউক সূত্রে জানা গেছে, উপইমারত পরিদর্শক হিসেবে চাকরিতে যোগদানের সময় আমীর খশরুর বেতন স্কেল ছিল ১ হাজার ৪৮০ টাকা। মাসে মূল বেতন ছিল প্রায় চার হাজার টাকা। চাকরিজীবনের ৩২ বছরে নানা সময় নানা অভিযোগে এক যুগেরও বেশি সময় তিনি সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। বর্তমানে তাঁর বেতন প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
রাজধানীতে আমীর খশরু ও তাঁর স্ত্রীর নামে ৩৬টি ফ্ল্যাট আছে। উত্তরায় ৩০ কোটি টাকা দামের দুটি প্লট আছে। সব মিলিয়ে শতকোটি টাকার সম্পদ তাঁর। প্রাপ্ত অভিযোগ ও কাগজপত্র যাচাই করেছে সমকাল। তথ্য সংগ্রহ করেছে সরেজমিন।
বাড্ডা পুনর্বাসন প্রকল্পের ১০ নম্বর রোডের ৭৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ছয়তলা বাড়িটির নাম ফারিয়া নিশাত কুঞ্জ। আনুমানিক পাঁচ কাঠা আয়তনের কর্নার প্লটের বাড়িটির কাজ শেষ হয়েছে বছরখানেক আগে। নিচতলায় পার্কিং, গার্ডরুম, একটি ফ্ল্যাট ছাড়াও অন্য তলাগুলোতে রয়েছে দুটি করে ১১টি ফ্ল্যাট। ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দেওয়া। আমীর খশরু মাঝেমধ্যে সেখানে যান। ভবনটির নিরাপত্তাকর্মী মো. কালাম ও পার্শ্ববর্তী ভবনের বাসিন্দা জানান, এই বাড়ির মালিক আমীর খশরু; রাজউকে বড় চাকরি করেন। এ এলাকায় তাঁর আরও বাড়ি আছে বলেও জানান তারা।বিস্তারিত