৩৫৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিল ১৭ ছাপাখানা!

৩৫৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিল ১৭ ছাপাখানা!

অনলাইন ডেস্ক

 

জানা গেছে, এনসিটিবি বেসরকারি ‘তৃতীয় পক্ষের’ মাধ্যমে পরিদর্শন করালেও প্রতিবারই পাঠ্যবইয়ের মান নিয়ে বিতর্ক উঠছে। মূলত গত ১৬ বছর ধরে ছাপাখানাগুলোর ছায়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে করেছে ইন্সপেকশন এজেন্ট কোম্পানিগুলো। বইয়ের উৎপাদন থেকে সরবরাহ পর্যন্ত সব কাজ তদারক করে প্রি-ডিস্ট্রিবিউশন এজেন্ট (পিডিআই)। অন্যদিকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বই সরবরাহের পর, ঐসব বইয়ের মান যাচাইয়ের তদারক করে পিএলআই এজেন্ট। প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের পিডিআই ও পিএলআই ইন্সপেকশনের কাজ একই কোম্পানি করলেও মাধ্যমিক স্তরে ইন্সপেকশনের কাজ দুটি আলাদা কোম্পানিকে দেওয়া হয়।
পিডিআই ও পিএলআই ইন্সপেকশন কোম্পানিগুলো কাজ পাওয়ার জন্য টেন্ডারে অংশ নেয়, যা খরচ হয় তার অর্ধেক টাকায়।
অস্থিরতা কাটাতেই পদত্যাগের কথা || দেশ রূপান্তর
চলমান অস্থির পরিবেশ অনুকূলে নিয়ে আসা এবং তার প্রতি সবার আনুগত্য অটুট রাখতেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। প্রধান উপদেষ্টা চান, আগের মতোই তার প্রতি সবার আনুগত্য থাকুক। ৫ আগস্টের পরের পরিস্থিতিতে যেভাবে আনুগত্যের প্রকাশ ঘটেছে, দ্বিতীয়বারের মতো সেটি প্রকাশ্যে আসুক দেখতে চান তিনি। এ কারণেই পদত্যাগের কথা উচ্চারণ করেন প্রধান উপদেষ্টা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মনে করেন, মতানৈক্যের রাজনীতি ভবিষ্যতে সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতে পারে। সরকারঘনিষ্ঠ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র এ কথা জানিয়েছে। সূত্র এ কথাও জানিয়েছে, পদত্যাগের কথা তিনি সিরিয়াসলি বলেননি।

সূত্রগুলো জানায়, জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে হঠাৎ করে দেশে সৃষ্টি হওয়া অস্থিরতায় বেশ ক্ষুব্ধ প্রধান উপদেষ্টা। বিএনপি, এনসিপিসহ বিভিন্ন দলের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন তাকে হতাশ করেছে। পদত্যাগের কথা বলে সবাইকে সতর্ক করেন তিনি। সূত্র জানায়, তার মতে, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়াই আছে। সুতরাং নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি ও আলোচনা তার কাছে অপ্রাসঙ্গিক। দেশে শান্ত পরিবেশ বজায় থাকুক, চান প্রধান উপদেষ্টা। দাবিদাওয়া ও আন্দোলনের নামে ঢাকাকে অস্থির করে তোলা হোক, তা দেখতে চান না তিনি। তাই পদত্যাগের মতো কঠিন সিদ্ধান্তের কথা বলে সবাইকে সতর্ক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সিরিয়াসলি পদত্যাগ করবেন তিনি এ কথা কিন্তু জানায়নি সরকারি সূত্রগুলো।

চলমান সংকটে বিশেষজ্ঞদের অভিমত
জুলাই ঐক্যেই সমাধান || যুগান্তর
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘পদত্যাগ চিন্তা’র আলোচনা চলমান সংকটকে আরও উসকে দিয়েছে। দেশের স্বার্থে দ্রুত এ সংকটের উত্তরণ ঘটাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতি বিপজ্জনক বাঁকে মোড় নিতে পারে। যুগান্তরের কাছে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজনরা।

তারা বলেন, সৃষ্ট সংকটের সম্মানজনক সুরাহা না হলে নির্বাচন ছাড়াও জুলাই গণহত্যার বিচার ও সংস্কার-পুরোটাই ঝুলে যেতে পারে। সৌভাগ্যবশত নির্বাচনের দেখা মিললেও বিচার ও সংস্কার গভীর খাদে আটকা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া শেষমেশ প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চিন্তা যদি বাস্তবে ঘটে যায়, সেক্ষেত্রে হঠাৎ পরিস্থিতি ভিন্নদিকে ধাবিত হতে পারে। এমনকি ফ্যাসিবাদী শক্তির বিপজ্জনক উত্থান ঘটার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে।

এসব আশঙ্কার বিষয় সামনে রেখে সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র সমাধান ফ্যাসিবাদবিরোধী ‘জুলাই ঐক্য’ সুসংহত করা। এছাড়া প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি ও জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এখনই ঘোষণা করা দরকার। যারা নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়, তাদের থেকে সরকারের দূরত্ব বাজায় রাখাও জরুরি। এ ব্যাপারে সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

ভারত থেকে আকস্মিক বিদ্যুৎ বন্ধ হলে প্রস্তুত কি বিপিডিবি || বণিক বার্তা
সম্প্রতি পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দুই দেশের এ টানাপড়েন বিদ্যুৎ বাণিজ্যেও প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাই যদি হয় অর্থাৎ প্রতিবেশী দেশটি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে তা মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) প্রস্তুতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তারা।

ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বিপিডিবির সঙ্গে দেশটির সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ২ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি রয়েছে। এর মধ্যে জিটুজি চুক্তির আওতায় ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট এবং আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের। সে অনুযায়ী দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে ভারত থেকে, যা দেশে মোট বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রায় ১৭ শতাংশ। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো ত্রুটি কিংবা আকস্মিক বন্ধ হয়ে গেলে তার জন্য বিপিডিবির প্রস্তুতি রয়েছে কিনা—সে বিষয়ে সংস্থাটির বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে জানার চেষ্টা করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিপিডিবির ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা জানান, ভারতের সঙ্গে জিটুজির আওতায় বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি আকস্মিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিগত এক দশকে এমন পরিস্থিতি কখনো হয়নিও। তবে কোনো কারণে এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে সামাল দেয়ার মতো প্রস্তুতি বিপিডিবির রয়েছে বলে দাবি করেন তারা। সেক্ষেত্রে হয়তো কিছুটা লোডশেডিং হতে পারে। অবশ্য বিষয়টি নির্ভর করছে বিদ্যুতের পিক ডিমান্ডের ওপর। যদি বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকে সেক্ষেত্রে সামাল দেয়া সম্ভব। চলতি বছরের প্রাক্কলন অনুযায়ী, বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছলে সেক্ষেত্রে হয়তো ভিন্ন পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে।

হোটেলে তল্লাশি চালাতে গিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ || সমকাল
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৪ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এক শিক্ষার্থীসহ তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, হোটেলে তল্লাশি চালাতে গিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন। পরে এ ঘটনায় করা দুটি মামলায় বলা হয়, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের হত্যা করে। সেই সঙ্গে তাদের জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ দেখিয়ে নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে আর্থিক সহায়তাও নেয় তাদের পরিবার।

তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার আগে ঠিক কী ঘটেছিল, তা অনুসন্ধান করেছে সমকাল। প্রত্যক্ষদর্শী ও হোটেলকর্মীদের ভাষ্য, তল্লাশি চালানোর পর ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ কারণে যাত্রাবাড়ী থানা পাহারার দায়িত্বে থাকা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তিনজনকে আটক করে পেটায়। এতে দু’জনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন-যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী বড় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম ইয়াসিন (১৯) ও অনলাইনে পোশাক বিক্রেতা সাঈদ আরাফাত শরীফ (২০)। কিছু সময়ের ব্যবধানে আরেকটি ধর্ষণের অভিযোগে আবাসিক হোটেল রোজ ভিউর ব্যবস্থাপক রাহাত হাসান বিপুকে (৫৩) সায়েদাবাদ এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তখনকার কয়েকটি ভিডিওতে ভুক্তভোগী তরুণীর জবানবন্দি, অভিযুক্তদের নির্মমভাবে পেটানো এবং ক্ষমা চাওয়ার প্রমাণ রয়েছে। শিক্ষার্থীসহ দুই তরুণের পরিবারের দাবি, ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা। জুলাই আন্দোলনে যুক্ত থাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের হত্যা করে।

পরিত্যক্ত উত্তরের চার বিমানবন্দর || বাংলাদেশ প্রতিদিন
দীর্ঘ বছর ধরে উত্তরাঞ্চলের চারটি বিমানবন্দর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অতীতের সরকারগুলো এসব বিমানবন্দর বিভিন্ন সময়ে চালুর আশ্বাস দিলেও কেউ কথা রাখেনি। অথচ এসব বিমানবন্দর চালু হলে উত্তরাঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থা পাল্টে যেত। আকাশপথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ঘটত বিপ্লব। লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, বগুড়া ও ঈশ্বরদী বিমানবন্দর যুগ যুগ ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা থেকে পিছিয়ে রয়েছে উত্তরের মানুষ। বিমানবন্দরগুলো চালুর বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল না বলে জানান।

জানা গেছে, পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত লালমনিরহাট বিমানবন্দর। এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর এটি। এটি চালু হলে রংপুর অঞ্চলে ঘটবে অর্থনৈতিক বিপ্লব। যোগাযোগের ক্ষেত্রে যোগ হবে নতুন মাত্রা। পাল্টে যাবে এ অঞ্চলের দৃশ্যপট। বিগত সরকারগুলো কয়েক দফা পরিকল্পনা করলেও বিমানবন্দরটি চালুর বিষয়টি আলোর মুখ দেখেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটি চালুর আশ্বাসের কথা শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালুর জন্য বেবিচক চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিদর্শক দল পাঠানো হয়। ১৯৩১ সালে বৃটিশ সরকারের আমলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ও হারাটি এলাকায় ১ হাজার ১৬৬ একর জমি অধিগ্রহণ করে বিমানবন্দর নির্মাণ করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে এ বিমান বন্দরেই ছিল মিত্র বাহিনীর ভরসাস্থল। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর নতুন করে ব্যবহার না হওয়ায় জৌলুস হারাতে থাকে। ১৯৮৩ সালে বিমানবাহিনী কর্তৃপক্ষ এখানে কৃষি প্রকল্প গ্রহণ করে। সরকারি মূল্যবান স্থাপনায় মিলিটারি ফার্মের তত্ত্বাবধানে গড়ে তোলা হয়েছে খামার। সংরক্ষিত ভূমিতে কৃষি কাজ হচ্ছে।

এনসিপিকে নিয়ে হতাশা || কালবেলা
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতি শুরুতে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল সীমাহীন। দিন যত গড়াচ্ছে মানুষের সেই প্রত্যাশায় ভাটা পড়েছে। বিশেষ করে দল গঠনের পর থেকেই এনসিপির অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা, নেতাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা, কোনো কোনো নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ—এসব নানা কারণে দলটি যেমন ইমেজ সংকটে পড়েছে, তাদের প্রতি সাধারণের আবেদনও দিন দিন কমছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যতটা প্রত্যাশা নিয়ে গঠন করা হয়েছে তরুণদের এ দল, ততটাই হতাশা উপহার দিয়েছে তারা।

একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও সম্ভাবনার বার্তা নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। পরে একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন দলটির নেতাকর্মীরা। সর্বশেষ এনসিপির জ্যেষ্ঠ মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন ‘চাঁদাবাজ’ নেতাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসে সমালোচনায় বিদ্ধ হন। নিজ দল থেকে শোকজও করা হয় তাকে। এর আগে মোংলা সমুদ্রবন্দর ইস্যুতে জড়িয়ে সমালোচিত হন তিনি।

আত্মপ্রকাশের পর এনসিপির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন যুগ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীর। তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক নিয়োগ ও এনসিটিবির বই ছাপার কাজে ‘কমিশন বাণিজ্য’ ও ‘হস্তক্ষেপ’ করার বড় অভিযোগ রয়েছে। তানভীরের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে দলের ভেতরে ও বাইরে বেশ আলোচনা চলছিল। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতিও দেওয়া হয়। তাকে এখনো স্থায়ী বহিষ্কার না করায় নানা মহলে এনসিপিকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটি তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। এরই মধ্যে গত বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে তাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

নিজ দলের মধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন ছাত্রলীগ ছেড়ে শেখ হাসিনার পতন ঘটানো ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যোগ দিয়ে আলোচিত হওয়া সারজিস আলম। এনসিপির এ মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) ঈদের আগে নিজ এলাকা পঞ্চগড়ে ৪০০ গাড়ির বহর নিয়ে শোডাউন করে সমালোচিত হন। এমন কর্মকাণ্ডে নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে ‘আমার দাদা যে সম্পদ রেখে গেছেন, তা দিয়ে নির্বাচনটাও করে ফেলা যায়’ মন্তব্য করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসির পাত্রও হন তিনি।

তথ্য যাচাইয়ের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনছে ইসি || আজকের পত্রিকা
একের পর এক নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁসের ঘটনার পর যেন টনক নড়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। তথ্য ফাঁস বন্ধে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের ‘হিট’ নিয়ন্ত্রণে ‘ক্যাপিং’, অর্থাৎ ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার পদ্ধতি চালু করার কথা ভাবছে কমিশন। এ ছাড়া চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোকে এনআইডির বিশদ তথ্য দেখতে না দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। বিষয়টি বাস্তবায়িত হলে প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্য যাচাইয়ের সুযোগের পরিবর্তে শুধু এনআইডি নম্বর সঠিক কি না, তা যাচাই করতে পারবে। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদাসীনতায় প্রতিনিয়ত জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সঙ্গে থাকা নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হচ্ছে। ইসির সূত্র বলছে, ক্যাপিং পদ্ধতি চালু করা হলে, তথ্য যাচাইয়ে নির্ধারিত সংখ্যকের বেশি হিট হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সেবা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। এমন হলে পরবর্তী সময়ে ইসিকে যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিয়ে সে প্রতিষ্ঠান আবার এনআইডি যাচাইয়ের সুযোগ পাবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন পদ্ধতিতে এনআইডি নম্বর দিয়ে খোঁজ করলে নাগরিকের তথ্য সঠিক থাকলে ‘ম্যাচ’ আর সঠিক না থাকলে ‘নো ম্যাচ’ দেখাবে। হিটের সংখ্যা বেঁধে দেওয়া আর শুধু নম্বর যাচাইয়ের সুযোগ রাখা— এ পদ্ধতি দুটি কার্যকর হলে তথ্য ফাঁসের ঘটনা কমবে বলে আশা করছে নির্বাচন কমিশন।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ