সরকার বাজেট ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ খাত হিসেবে ব্যাংক থেকে বেশি করে ঋণ নিলে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে করে বেসরকারি বিনিয়োগ কমে যায়। যার চূড়ান্ত প্রভাব পড়ে কর্মসংস্থান ও জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে। ফলে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছর বিদেশি উৎস থেকে বেশি ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
বাজেটের আকার কমিয়ে ধরা সত্ত্বেও আসছে বছর বিদেশি উৎস থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকার মতো ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যেটা চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা। অবশ্য চলতি বছরের গত আট মাসে বিদেশি ঋণ নেওয়া হয়েছে ৪.১৩ বিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২০ টাকা হারে ধরা হলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এদিকে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিক রাখতে ব্যাংক থেকে যতটা কম ঋণ নেওয়া যায় সে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আগামী বছর ব্যাংক থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা।
এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৩ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে যা ছিল ৫১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাত বছরে এ ঋণ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। এ সময়ে সরকারি খাতের ঋণ বেড়েছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। বেসরকারি খাতে তা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালের মোট ঋণের ৮৪ বিলিয়ন ডলারই নিয়েছে সরকার। বাকি ১৯ বিলিয়ন ডলার নিয়েছে বেসরকারি খাত।বিস্তারিত