ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা

ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা

১২ জুন ভারতের আহমদাবাদে টেক-অফের পর মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে দুর্ঘটনায় পতিত হওয়া বিমান সারা বিশ্বকে কাঁদাচ্ছে। নতুন করে মনে করিয়ে দিচ্ছে বিমান দুর্ঘটনার ভয়াবহতার কথা। ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলা ছাড়াও বিশ্বজুড়ে ঘটে গেছে ভয়ংকর কতগুলো বিমান দুর্ঘটনা।  যার প্রতিটি ঘটনাই একটি আলাদা অধ্যায়, একটি শিক্ষা,  আর একটি ব্যর্থতার গল্প। এ নিয়েই আজকের রকমারি-

 

 

টেনেরিফ বিমানবন্দর বিপর্যয়

তারিখ : ২৭ মার্চ, ১৯৭৭ ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ, স্পেন, মৃত্যু : ৫৮৩ জন

এটি সাধারণ কোনো বিমান দুর্ঘটনা ছিল না। এটিকে বলা হয় বিমানবন্দর বিপর্যয়। বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা এটি। ১৯৭৭ সালের ২৭ মার্চ, স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের লস রোদেওস বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। এর বর্তমান নাম টেনেরিফ নর্থ এয়ারপোর্ট। এ মর্মান্তিক ঘটনায় দুটি বড় যাত্রীবাহী বোয়িং ৭৪৭ বিমান পরস্পরের সঙ্গে রানওয়েতে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, যাতে মোট ৫৮৩ জনের মৃত্যু হয়। দুটি বিমান-কেএলএম ফ্লাইট ৪৮০৫ এবং প্যান অ্যাম ফ্লাইট ১৭৩৬- অন্য একটি দ্বীপে অবতরণ করার কথা ছিল, কিন্তু একটি বোমা বিস্ফোরণের কারণে তাদের টেনেরিফের লস রোদেওস বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে আনা হয়। এ স্থানান্তরের ফলে বিমানবন্দরে অতিরিক্ত ভিড়, কুয়াশা এবং যোগাযোগ বিভ্রাট সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনাটি ঘটে যখন ঘন কুয়াশার মধ্যে কেএলএম বিমানের পাইলট টেক-অফের অনুমতি না পাওয়া সত্ত্বেও রানওয়েতে ছুটতে শুরু করেন। একই সময়ে প্যান অ্যাম বিমানের পাইলটরা ওই একই রানওয়ের ওপর থাকায়, দুটি বিশাল বোয়িং ৭৪৭ পরস্পরের সঙ্গে সরাসরি ধাক্কা খায়। কেএলএম বিমানের সব যাত্রী ও ক্রু এবং প্যান অ্যাম বিমানের অধিকাংশ যাত্রী এতে প্রাণ হারান। তদন্তে জানা যায়, মূলত ভুল বোঝাবুঝি এবং এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে অস্পষ্ট যোগাযোগ এ দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল। কেএলএম পাইলট ভেবেছিলেন যে তারা টেক-অফের অনুমতি পেয়েছেন, কিন্তু আসলে তা স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। একই সঙ্গে কুয়াশার কারণে কেউ কাউকে দেখতে পাচ্ছিল না এবং রানওয়েতে থাকা প্যান অ্যাম বিমানের অবস্থান স্পষ্ট ছিল না।বিস্তারিত

বিচিত্র খবর