ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়ছেই। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও দুই বড় শক্তি ব্রিটেন ও ফ্রান্স ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়েছে। ইরানের পক্ষে অবস্থান জানিয়েছে সামরিক শক্তিধর চীন ও রাশিয়া। ইরান এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের ঘাঁটি ধ্বংসের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। পাশাপাশি গতকাল ভোরে ইরান পাল্টা আঘাত হেনে ইসরায়েলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আয়রন ডোম বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ব্যর্থ করে এবং তেলআবিবে অবস্থিত প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেয়। একই সময় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র মধ্য ইসরায়েলের বিভিন্ন অংশে একের পর এক আঘাত হানতে থাকে। ১৯ সেকেন্ডের এক ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, ইসরায়েলের আয়রন ডোম একটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটি ওই আয়রন ডোম ধ্বংস করে চোখের পলকে প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরে আঘাত হানে। ক্লিপটি শুরু হয় বিকট শব্দে বেরিয়ে আসা প্রজেক্টাইল দিয়ে। তার পর আলোর ঝলক এবং আগুনের একটি গোলা বিকট শব্দে ভবনটিতে আঘাত করে। আয়রন ডোম এবং প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়ায় হতবাক হয়েছে তেলআবিবসব তাদের মিত্ররা। এ ঘটনার পর বলা হয়েছে, পরিস্থিতি খুব দ্রুত নাজুক হচ্ছে। সামরিক বিশ্লেষকরা শুধু মধ্যপ্রাচ্য বা আঞ্চলিক সংঘাত নয়, ব্যাপক পরিসরে যুদ্ধের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। অনেকে বলছেন, এ লড়াই যেভাবে তীব্রতর হচ্ছে, তাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অশনিসংকেত দেখা যাচ্ছে।
মধ্য ইসরায়েলে সরাসরি আঘাত হেনেছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র। এতে বহু স্থাপনা ভস্মীভূত হওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য মানুষের হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এ ঘটনায় অন্তত দুজন নিহত ও ১৯ জন আহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাঁপছে ইসরায়েল। এদিকে, ইরানে হামলার বিষয়ে বিস্ফোরক তথ্য পাওয়া গেছে। বলা হয়েছে, শুক্রবার ইরানের ভিতর থেকেই দেশটির নানা অবকাঠামোয় নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছেন ইসরায়েলি গোয়েন্দারা। এমন দাবি করে কিছু ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। নিহত সামরিক ও পরমাণুবিজ্ঞানীদের অনেকেই বিস্ফোরকভর্তি ড্রোন কিংবা অন্যান্য যন্ত্রের আঘাতে নিহত হন।বিস্তারিত