নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দলীয় প্রতীক তালিকা থেকে ২০১৭ সালে বাদ দেয়া হয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা। নির্বাচন কমিশনে জামায়াত নিবন্ধন ফিরে পেলে নতুন করে বিধি সংশোধনের মাধ্যমে ওই প্রতীকসহ আরো ৩১টি প্রতীক যুক্ত করতে চাচ্ছে নাসিরউদ্দিন কমিশন। ফলে প্রতীকের সংখ্যা ১০০টিতে উন্নীত হবে। পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করা হয়। জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আমাদের সাথে অন্যায় করা হয়েছে। আমরা আশা করব, ইসি দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দেবে।
প্রতীক নিয়ে সার্বিক অবস্থা : ইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইসিতে নিবন্ধিত নতুন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দে বারবার বিধি সংশোধনের জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। এই জটিলতা এড়াতে নির্বাচনী প্রতীকের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বর্তমানে তফসিলভুক্ত ৬৯টি প্রতীক। ২০১৬ সালে আদালতের একটি ফুল কোর্ট সভার সিদ্ধান্তের আলোকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক বাতিল করা হয়। এটি ছিল প্রশাসনিক পত্র, রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে তৎকালীন ইসি এটি পেয়েছিল। সেটির আলোকে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। ওই সময় ৬৪টি প্রতীক দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এখন দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ অন্তত ৩১টি নতুন প্রতীক যুক্ত করে প্রতীক সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে ইসি। এতে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য প্রতীক বরাদ্দ সহজ হবে। বারবার বিধি সংশোধনের প্রয়োজন পড়বে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ইসির তফসিলভুক্ত ৬৯টি প্রতীকের মধ্যে ৫০টি প্রতীক বরাদ্দ রয়েছে রাজনৈতিক দলের জন্য, যার মধ্যে স্থগিত হওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরও প্রতীক রয়েছে। বাকি ১৯টি প্রতীক রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের, যা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ দিকে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সেখান থেকে যদি কোনো রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পায় তাহলে এ প্রতীকের সংখ্যা আরো কমে আসবে। এ জন্য প্রতীক বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর নতুন করে যে ৩১টি প্রতীক যুক্ত হবে তার মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক দাঁড়িপাল্লাও থাকবে।বিস্তারিত