অনলাইন ডেস্ক
আন্দোলনের মুখে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) প্রশাসন।
শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার পরিচালক আবু সা-দাত মো: মুনতাসিরবিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাতে পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, প্রক্টোরিয়াল বডি এবং ডিসিপ্লিনারি কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। আশা করছি ছাত্ররা এবার ক্লাসে ফিরে আসবেন। এরপর কেউ আন্দোলন করলে তার দায়-দায়িত্ব তাদের নিতে হবে।
মুনতাসিরবিল্লাহ বলেন, ‘আর যারা বহিষ্কৃত ছিলেন, তারা চলতি স্প্রিং সেমিস্টার থেকে ক্লাস চালিয়ে যেতে পারবেন। যাদের দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল, তারা ক্লাসে ফিরবেন ফল সেমিস্টার থেকে।’
এদিন সকালে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ পাঁচ দাবিতে ঢাকার নতুনবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন ইউআইইউসহ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে এবং তাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আহত করেছে। তারা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, ইউআইইউ রিফর্ম আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘নানা নাটকীয়তা ও বিলম্বের’ মধ্যেও ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত রয়েছে শিক্ষার্থীরা। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের ধরণা দিলেও কার্যকর কোনো সমাধান আসেনি।
আন্দোলনকারীদের একজন লাবিব মুহান্নাদ জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে যে শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন, তাদের ২৫ জনকে বহিষ্কার করেছে ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটি। ইউনাইটেড গ্রুপ আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলোকে টাকা দিত। তারা জুলাই অভ্যুত্থানে জড়িত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন করেছিল, তাদের আশ্বাস দিয়ে আট মাস বসিয়ে রাখা হয়। পরে তারা ভিসির পদত্যাগসহ তাদের অধিকার রক্ষায় ফের আন্দোলনে নামে। ওই আন্দোলন দমানোর জন্য ২৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।