ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ

ইরানি বিপ্লবের আগে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। তবে সে সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে দেশ দুটি। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের চলমান হামলা ও ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে ইসরায়েলের হামলা-পাল্টা হামলায় পুরো চিত্র বদলে গেছে। ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে, এ অভিযোগে ইসরায়েল হামলা করে ইরানে। দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হামলার কঠিন জবাব দিতে শুরু করে ইরান।  পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে দেশ দুটি। হচ্ছে প্রাণহানি ও অবকাঠামো ধ্বংস। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুমকিতে গোটা বিশ্ব-

 

 

যেভাবে সম্পর্কের অবনতি

১৯৪৮ সালে যখন ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয় তখন তুরস্কের পর ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া দ্বিতীয় মুসলিম দেশ ছিল ইরান। ক্রমে দুই দেশের মধ্যে গড়ে ওঠে অর্থনৈতিক, এমনকি সামরিক সম্পর্কও। ১৯৫৭ সালে যখন ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা ‘সাভাক’ প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন এতে সহায়তা করেছিল ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। ইরান সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখলেও ইরানের ভিতরে আগে থেকেই ইসরায়েল বিরোধিতা ছিল। ইরানের শাহ শাসনবিরোধী বামপন্থিদের সঙ্গে ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলন ফাতাহ এবং এর নেতা ইয়াসির আরাফাতের যোগাযোগ ছিল। অন্যদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি এবং তার অনুসারীরাও ছিলেন ফিলিস্তিনে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে। ইরান-ইসরায়েল সম্পর্ক ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর ভেঙে পড়ে। তখন ক্ষমতায় আসা ইরানের বিপ্লবী সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। তেহরানে ইসরায়েলের দূতাবাসকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসে পরিণত করে। তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। মূলত ইরানের বিপ্লবী সরকার ফিলিস্তিনে ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এসেক্সের শিক্ষক এবং মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আব্বাস ফয়েজ বলেন, ‘ইরানি সরকারের ইসরায়েল নীতি পরিবর্তন হওয়ার কারণেই দুই দেশের সম্পর্ক বৈরী হতে শুরু করে। ইসলামি বিপ্লবের পর ইরান সরকার আমেরিকা এবং ইসরায়েলকে তার জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনকে সমর্থন দেওয়ার নীতিও নিয়েছিল।বিস্তারিত

আন্তর্জাতিক শীর্ষ সংবাদ