অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। আগামীকাল সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের মাধ্যমে শুরু হবে লিখিত পরীক্ষা, যা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
আবারো দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবারো পরীক্ষা সুষ্ঠু, নিরাপদ ও নকলমুক্ত রাখতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রশ্নফাঁসের গুজব প্রতিরোধ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও গুজব থেকে পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে দেশের সব কোচিং সেন্টার আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মঙ্গলবার (২৪ জুন) জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
এবার সারাদেশে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ নয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি, আলিম পরীক্ষার্থী ৮৬ হাজারের বেশি এবং কারিগরি বোর্ডের অধীন পরীক্ষার্থী এক লাখ ৯ হাজারের বেশি।
দেশের দুই হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার্থীদের জন্য ১০টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। এর মধ্যে রয়েছে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা, ওএমআর শিটে সঠিকভাবে তথ্য লেখা ও বৃত্ত ভরাট, উত্তরপত্র ভাঁজ না করা, শুধু সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা এবং বহুনির্বাচনী ও সৃজনশীল পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি না থাকা, পরীক্ষার কেন্দ্রে কোনো অবস্থাতেই মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না, তত্ত্বীয়, এমসিকিউ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় পৃথকভাবে পাস করতে হবে। এছাড়া পরীক্ষার্থী শুধু প্রবেশপত্রে উল্লিখিত বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে এবং স্থানান্তরের মাধ্যমে আসনবিন্যাস করা হয়েছে, অর্থাৎ নিজ প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নেয়া হবে না। প্রতিটি অংশের উপস্থিতি পত্রে পরীক্ষার্থীদের স্বাক্ষর দেয়া বাধ্যতামূলক।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে জারি করা ৩৩ দফা নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে- প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য একজন কক্ষ পরিদর্শক রাখতে হবে। পরীক্ষাকক্ষে পরীক্ষার্থীদের তিন ফুট দূরত্বে বসাতে হবে। নির্ধারিত সেট অনুযায়ী প্রশ্নপত্র খোলা ও অব্যবহৃত সেট ফেরতের ব্যবস্থা। থানার ট্যাগ অফিসার ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রশ্ন আনতে হবে। কেন্দ্রের বাইরে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজন হলে মাইক ব্যবহার করে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ‘নকল প্রতিরোধ’ পোস্টার লাগানো বাধ্যতামূলক।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক খন্দকার এহসানুল কবির জানান, পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে, যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।