দ্রব্যমূল্যে হাঁসফাঁস মানুষের এই ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ার কারণ নেই। মিলাররা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছেন -আব্দুল মান্নান তালুকদার, মালিক, মেসার্স মান্নান রাইস এজেন্সি

দ্রব্যমূল্যে হাঁসফাঁস মানুষের এই ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ার কারণ নেই। মিলাররা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছেন -আব্দুল মান্নান তালুকদার, মালিক, মেসার্স মান্নান রাইস এজেন্সি

ঈদের পর থেকে চালসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন। গত এক মাসে সব ধরনের চাল, আলু, দেশি পেঁয়াজ, টমেটো, বেগুন, করলা ও সোনালি মুরগি—এই সাত পণ্যের দাম খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৩৩ শতাংশ বেড়েছে।  পণ্যের দাম নতুন করে বাড়লেও আয় না বাড়ায় ক্রেতা অসহায়। কিনতে গিয়ে পকেটের বারোটা বেজে যাচ্ছে তাদের।

 

কোনো কারণ ছাড়াই নতুন করে চালের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে মিনিকেট হিসেবে পরিচিত সরু চালের দাম খুচরায় কেজিতে এক লাফে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। এটি মূল্যস্ফীতিকে নতুন করে উসকে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করছে।

মোটা চালের দামও কেজিতে নতুন করে তিন থেকে পাঁচ টাকা বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা।

এতে ভোক্তাদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, গত দুই সপ্তাহে মিল পর্যায়ে মিনিকেট চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এর প্রভাবে খুচরা ও পাইকারিতেও দাম বেড়েছে। 

চালকল মালিকদের দাবি, বাজারে মিনিকেট চালের ধানের সংকটের কারণে বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে।

উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম বেড়েছে। 

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারের মজুদ নীতিমালার তোয়াক্কা না করে অসাধু মজুদদার ও করপোরেট চাল ব্যবসায়ীরা বেশি পরিমাণে ধান কিনে মজুদ করে রেখেছেন। কৃষকের ধান সাধারণ মিলারদের হাতে নেই বললেই চলে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। তাঁরা বলছেন, বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের সক্রিয়তা ধারাবাহিক নয়।বিস্তারিত

অর্থ বাণিজ্য জাতীয় শীর্ষ সংবাদ