ইরানের সেকাল-একাল

ইরানের সেকাল-একাল

মানব জাতির সুপ্রাচীন ও প্রাগৈতিহাসিক সভ্যতা-সংস্কৃতির দেশ ইরান। সেখানে আছে হাজার হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য; আছে উত্থান ও আধিপত্যের  নানা গল্প। সেসব নিয়ে আজকের আয়োজন-

 

সমৃদ্ধ পারস্য সাম্রাজ্যের উত্থান

ইরান প্রাচীন ও সমৃদ্ধ ইতিহাসের দেশ। এর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস বেশ দীর্ঘ। বিভিন্ন পর্যায়ে এর বিবর্তন ঘটেছে। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে প্রথম পারস্য সাম্রাজ্যের উত্থান ছিল ইরানের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এরপর সেলুসিড, পার্থিয়ান ও সাসানীয় সাম্রাজ্যসহ বিভিন্ন সাম্রাজ্য ইরানের ভূমি শাসন করেছে। ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের মাধ্যমে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে। প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামি প্রজাতন্ত্র। ইরানের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস হলো-

প্রাচীন যুগ : ধারণা করা হয়, প্রায় ১ লাখ বছর আগে ইরানে মানুষের বসতি ছিল। মেসোপটেমিয়ার সভ্যতার সঙ্গে ইরানের সম্পর্কও প্রাচীন। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে মেডিস রাজবংশ ইরানকে শক্তিশালী রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। এরপর আসে আচেমেনিড সাম্রাজ্য; যা বিশ্বের প্রথম বৃহত্তম সাম্রাজ্যগুলোর অন্যতম।

পারস্য সাম্রাজ্য : আচেমেনিড সাম্রাজ্যের পর সেলুসিড, পার্থিয়ান ও সাসানীয় সাম্রাজ্য ইরান শাসন করে। এ সাম্রাজ্যগুলো ইরানের সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও স্থাপত্যে ব্যাপক অবদান রাখে।

ইসলামি যুগ : সপ্তম শতাব্দীতে মুসলিম আরবদের দ্বারা ইরান বিজিত হওয়ার পর ইসলাম ধর্মের প্রসার ঘটে। সাসানীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর ইরান মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে পরিণত হয়। ফলে ইসলামি সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের বিকাশ ঘটে।

সাফাভি সাম্রাজ্য : ১৫০১ সালে সাফাভি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা ইরানের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সাফাভিরা শিয়া ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করে। এর মাধ্যমে ইরানের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে পরিবর্তন আসে।

কাজর ও পাহলভি যুগ : সাফাভি সাম্রাজ্যের পর কাজর ও পাহলভি রাজবংশ ইরান শাসন করে। এ সময়কালে ইরান আধুনিকীকরণের পথে অগ্রসর হয়।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র : ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের মাধ্যমে শাহ রেজা পাহলভির পতন ঘটে। প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামি প্রজাতন্ত্র। এ বিপ্লবের পর থেকে ইরান ইসলামি প্রজাতন্ত্র হিসেবে বিশ্বমঞ্চে পরিচিতি পায়। ইরানের এ দীর্ঘ ও জটিল ইতিহাস দেশটির সংস্কৃতি, রাজনীতি ও সমাজে গভীর প্রভাব ফেলেছে।বিস্তারিত

আন্তর্জাতিক শীর্ষ সংবাদ