নিজস্ব প্রতিবেদক
উন্নয়ন ও পরিচালন ব্যয় থেকে চলতি অর্থবছরে গাড়ি কিনতে পারবে না সরকারি কোনো সংস্থা। একই সঙ্গে সরকারি অর্থায়নে সব ধরনের বৈদেশিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে।
কৃচ্ছ্রসাধনের অংশ হিসেবে এই আদেশ জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার (৯ জুলাই) অর্থ বিভাগ এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।
ওই আদেশে বলা হয়, পরিচালন বাজেট থেকে সব ধরনের যানবাহন কেনা খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। তবে ১০ বছরের বেশি পুরোনো টিওঅ্যান্ডইভুক্ত যানবাহন প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে খরচ করা যাবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ছাড়া নতুন আবাসিক, অনাবাসিক ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ থাকবে।
তবে চলমান নির্মাণকাজ ৫০ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হয়ে থাকলে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে। ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। একইভাবে বন্ধ থাকবে থোক বরাদ্দের খরচ।
একই আদেশে উন্নয়ন বাজেট থেকে খরচের বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আদেশে বলা হয়, উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সব ধরনের যানবাহন কেনা বন্ধ থাকবে। প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে অধিগ্রহণ কার্যক্রমের সব আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালন করে অর্থ বিভাগের অনুমতি নিয়ে খরচ করা যাবে। পূর্বানুমোদনসাপেক্ষে ব্যয় করা যাবে। আবার পরিকল্পনা কমিশনের অনুকূলে বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা খাতে থোক বরাদ্দ হিসেবে থাকা টাকা খরচে অর্থ বিভাগের অনুমতি নিতে হবে।
সরকারি প্রকল্পের তথ্য দিতে হবে ৩ মাস পরপরসরকারি প্রকল্পের তথ্য দিতে হবে ৩ মাস পরপর
উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সরকারি অর্থায়নে সরকারি কর্মচারীদের সব ধরনের বৈদেশিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালায় অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। তবে সরকারি অর্থায়নে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, দেশ কর্তৃক প্রদত্ত বৃত্তি ও ফেলোশিপের আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নের জন্য বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে। এ ছাড়া সরকারি অর্থায়নে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া যাবে।
আদেশে আরও বলা হয়, সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের গত বছরের ৯ ডিসেম্বরে জারি করা পরিপত্র অনুসরণ করতে হবে।