প্রায় ৪০ শতাংশ ওষুধে ভেজাল, ওষুধশিল্পে ভয়াবহ নৈরাজ্য

প্রায় ৪০ শতাংশ ওষুধে ভেজাল, ওষুধশিল্পে ভয়াবহ নৈরাজ্য

দেশব্যাপী নকল ও জীবন রক্ষাকারী ভেজাল ওষুধে বাজার সয়লাব। রাজধানীসহ বড় শহরগুলোর চেয়ে গ্রামাঞ্চলে ভেজাল ও নকল ওষুধ বিক্রি হয় বেশি। ওষুধের এই নৈরাজ্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। ওষুধ বিক্রেতাদের দাবি, নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের তৎপরতা চোখে পড়ে না, নকল ও ভেজাল ওষুধ প্রস্তুতকারী ও বিক্রেতাদের কাছ থেকে একশ্রেণির কর্মকর্তা নিয়মিত মাসোয়ারা পাচ্ছেন। এ কারণে ভেজাল ও নকল ওষুধসামগ্রী উৎপাদন ও বাজারজাত দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

রাজধানীর নামীদামী ওষুধ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে ভেজাল ও নকল ওষুধ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিক্রেতারা সরাসরি জানান, বাজারে প্রায় ৪০ ভাগ ওষুধ ভেজাল ও নকল। আমদানিকৃত ওষুধ বেশির ভাগ নকল ও ভেজাল হয়। সেলসম্যানরা জানান, ইনসুলিনের মতো ওষুধও নকল হচ্ছে। বাজারে আমদানিকৃত বিদেশি ইনজেকশনেরও নকল পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন তারা। তবে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি নামিদামী প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থায় সুনামের সঙ্গে ইনসুলিন তৈরী করে বাজারজাত করছে।

এদিকে, নকল ওষুধের মধ্যে কী ধরনের কেমিক্যাল ও ম্যাটেরিয়াল দেওয়া হচ্ছে, তা ভেজালকারীও জানেন না। সম্প্রতি মোবাইল কোর্টের কাছে আটক কয়েক জন জানিয়েছেন, তারা শুধু প্যাকেট করা, হুবহু রং ও পাউডারের কথা বলেছেন। অন্য কিছু তারা জানেন না।

একাধিক বড় ওষুধ বিক্রয়প্রতিষ্ঠানের মালিক ইত্তেফাকের সঙ্গে আলাপকালে স্বীকার করেন যে, বাজারে নকল ও ভেজাল ওষুধে সয়লাব। নিয়ন্ত্রণ করার যেন কেউ নেই।বিস্তারিত

শীর্ষ সংবাদ স্বাস্থ্য