শ্বাসনালি পুড়ে গেছে জারিফের (১২)। পোড়ার তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা হলেও গলা দিয়ে বের হচ্ছে না আওয়াজ। কেবল গোঙানির শব্দ শোনা যাচ্ছে। গতকাল সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আনা হয়েছে জারিফকে।
রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় ৩৮ শতাংশ পুড়ে গেছে জারিফের শরীর। কিন্তু শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় শঙ্কায় স্বজনেরা। আইসিউতে চিকিৎসাধীন ছোট্ট শিশুটি। সন্তানের কষ্ট দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন জারিফের বাবা-মা। জারিফের চাচাতো ভাই সিয়াম বলেন, ‘আগুনে পোড়ার যে কী যন্ত্রণা তা চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না। কোলে-পিঠে বড় হওয়া শিশুর এ অবস্থা সহ্য করা যাচ্ছে না।’
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের পঞ্চম তলায় আইসিইউর সামনে দেখা মেলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের। আইসিইউর ভিতরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে শিশুরা আর দরজার বাইরে সৃষ্টিকর্তার কাছে দুহাত তুলে সন্তানের জীবন ভিক্ষা চাইছেন স্বজনরা। বাবা-মা, স্বজনের বুকফাটা কান্নায় চোখে জল চলে আসছে স্বাস্থ্যকর্মীসহ স্বেচ্ছাসেবকদেরও। মেঝেতে গড়াগড়ি করে কাঁদছেন অনেকে। সন্তানের স্মৃতি হাতড়ে বিলাপ করছেন তারা। তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও যেন হারিয়ে মাথায় বাতাস করছেন নয়তো মুখে পানি ছিটা দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবক তরুণরা।বিস্তারিত