দীর্ঘ অপেক্ষায় স্বজনরা সংকটাপন্ন আটজন পর্যবেক্ষণ সিঙ্গাপুর প্রতিনিধিদলের

দীর্ঘ অপেক্ষায় স্বজনরা সংকটাপন্ন আটজন পর্যবেক্ষণ সিঙ্গাপুর প্রতিনিধিদলের

হইহুল্লোড়ে সারাক্ষণ বাড়ি মাতিয়ে রাখত ছোট্ট মাহতাব। বাবা-মা, চাচা-চাচি, ফুপু আর বোনদের চোখের মণি ছিল সে। রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মাহতাবের। শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাকে। ছেলের এ অবস্থা দেখে আইসিইউ থেকে বেরিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মাহতাবের বাবা। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন বিমান দুর্ঘটনায় আগুনে ঝলসে যাওয়া আট শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে গতকাল জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আইসিইউতে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে শিশুরা। আর বাইরে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন স্বজনরা। কেউ নামাজ পড়ছেন কেউবা দোয়া-দরুদ পড়ে সন্তানের প্রাণভিক্ষা চাইছেন সৃষ্টিকর্তার কাছে।

আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আবদুল মাকিন। ৬৮ শতাংশ পুড়ে গেছে তার শরীর। আইসিইউর সামনে করিডরে চাদর বিছিয়ে বসে আছেন মাকিনের বাবা। পাশেই জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়ছিলেন মা। নামাজ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তাকে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় অন্য স্বজনদের। উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইমুন। বিমান দুর্ঘটনার সময় মাঠেই ছিল সে। চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আহতদের উদ্ধারে ছুটে যায় সে। আগুন-ধোঁয়ার মধ্য থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বের করে আনে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে। কিন্তু ধোঁয়া-গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে সাইমুন। উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ না হলে বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে নেওয়া হয় তাকে। তার বাবা জানান, আগুনে শরীর না পুড়লেও প্যানিক অ্যাটাক হওয়ায় আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে সাইমুনকে। সন্তানের দুশ্চিন্তায় চতুর্থ তলায় আইসিইউর সামনের করিডরে পায়চারি করছিলেন তিনি। হাসপাতালের পঞ্চম তলার ৫২০ নম্বর পোস্ট অপারেটিভ রুমে চলছে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা। দুপুরের দিকে ড্রেসিং চলছিল শিশুদের। শিশুদের কান্না আর গগনবিদারী চিৎকারে বাইরে অপেক্ষমাণ স্বজনদের চোখ দিয়ে অঝোরে পানি ঝরছিল। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাইয়ানের শরীরের ১৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। রাইয়ানের ফুপু বলেন, রাইয়ানের শরীরে আগুন এসে পড়লে সে ঘাসের মধ্যে গড়াগড়ি করছিল। উদ্ধারকারীরা তাকে উত্তরার লুবানা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। সে চিকিৎসকদের তার মায়ের নম্বর বলতে পেরেছিল। চিকিৎসকদের ফোন পেয়ে ওর মা লুবানা হাসপাতালে ছুটে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেওয়া হয়। এরপর বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয় তাকে।বিস্তারিত

শীর্ষ সংবাদ স্বাস্থ্য