মুসলিম বাজার ব্যবসায়ী সমিতির শতকোটি টাকা লুটের অভিযোগ

মুসলিম বাজার ব্যবসায়ী সমিতির শতকোটি টাকা লুটের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিবেদক

 

ঢাকার পল্লবী মেট্রো এলাকার মুসলিম বাজার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম গোলাম মোস্তফা, তার বাবা কাবিল হোসেন সরকার ও কদম আলী মাতব্বর গংদের বিরুদ্ধে সমিতির শতকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া গোলাম মোস্তফা গংদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সিলেকশন পদ্ধতিতে নির্বাচন, টাকা আত্মসাৎ, মামলা, হামলা, সদস্যদের হয়রানি ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করে মুসলিম বাজার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড ঐক্য পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন পরিষদের সভাপতি মোঃ বশির উদ্দিন বহু। এতে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

বশির উদ্দিন বহু বলেন, বিগত ১৬ বছরের অনিয়ম দুর্নীতি আত্মসাৎকারি মোঃ কাবিল হোসেন সরকার গং হাতিয়ে নিয়েছেন ১০০ কোটি টাকা। তার ছেলে এসএম গোলাম মোস্তফা বর্তমান বাজারের সাধারণ সম্পাদক। সে তার বাবার দুর্নীতি ঢাকতে হিংস্র হয়ে উঠেছেন। বিএনপির নাম বিক্রি করে বাজারে নিরীহ সদস্যদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। বাজারে তার বিরুদ্ধে কথা বললে নেমে আসে অকথ্য নির্যাতন। মুসলিম বাজারের এক সদস্যকে প্রকাশ্যে জুতা পিটা করেছেন তারা। ওদের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলতে বা প্রতিবাদ করতে আসে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হামলা শিকার হন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মুসলিম বাজারের নামে জমির পরিমাণ চার বিঘা ১৭ শতাংশ। ১৯৯১ সালে ২০২০ বিশাল পর্যন্ত ৫.৫৮.২৫.০.৪০/- এই টাকার মধ্যে সময় আইনের ২০০২ সালে তদন্তের মাধ্যমে ১৩৩ মাসের হিসাব ৩.৯৩.৮৫.০.৪০/- আত্মসাৎ করেন এই কাবিল হোসেন সরকার।

কাবিল হোসেন সরকার ৯৭ সদস্যের কাছে থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ১৮ কোটি টাকা জমজম ডেভলপারকে দেন। আমরা বাণিজ্যিক করার জন্য টাকা জমা দিয়ে এসেছি, সে টাকা আত্মসাৎ করে আবারও একটি ঋণ গ্রহণ চুক্তিপত্র ডেভেলপার কাছ থেকে ১৩ কোটি টাকা নন জুডিশিয়াল রেজিস্টার করা হয়। উল্লেখিত ডেভলপার কোন স্বাক্ষর, এমনকি লেনদেনের সময় কোন সাক্ষী স্বাক্ষর উল্লেখ নেই।

তিনি বলেন, ১৬ বছর সে নিজের ছেলে মেয়ে স্ত্রীদের নিয়ে নির্বাচনের নামে সিলেকশন করে নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে কমিটি তার ছেলে সম্পাদক এসএ গোলাম মোস্তফা বরাবর ২৩ শে জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে বিগত দুর্নীতি ও অনিয়ম বিষয়টি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি, জেলা সমবায় বরাবর ১৬ বছরের দুর্নীতি ও অনিয়ম বিরোধী একটি আবেদন করি একটি তদন্ত টিম গ্রহণের জন্য অনুরোধ করি, সদস্যকে মতামতের ভিত্তিতে জেলা সমবায় অফিসার দুইজন বিশিষ্ট একটি টিম গঠন করেন যা প্রক্রিয়াধীন। বাজারের ১২০ টি দোকানের অবৈধভাবে কেনা বেচা বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছেন ১৮ থেকে ২০ কোটি টাকারও বেশি। সর্বমোট ৩৫০ টি দোকানের কাছ থেকে জমিদারি ভাড়া বাবদ নিয়েছেন ২০০০ টাকা করে।

এভাবে ৮ বছরে হিসাব করলে আনুমানিক সাত কোটি টাকার কাছাকাছি হয়, জমজম ডেভেলাপারের সাথে অশুভ চুক্তি করে হাতিয়ে নেয় ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা, সাইনিং মানি দেখানোর হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা ডেভেলপার চুক্তি ১৮ মাসের মধ্যে মার্কেটে প্ল্যান পাস করার কথা ৭২ মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার কথা সর্বমোট ৯৬ মাস। অথচ আজ ১০ বছর অতিবাহিত হলেও এখানে বাজারের নকশা অনুমোদন হয়নি তাই সদস্যদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা। যাদের পুরাতন বাজারে দোকান ছিল তাদেরকে নতুন বাজারের দোকান দেওয়া হয়নি, পুরাতন বাজারে জমি ২০১৫ সালে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, এ বিষয়টি মৌখিক ভাবে জানতে গেলে ঐক্য পরিষদের সভাপতি বশির উদ্দিন বহুকে মাথায় আঘাত করা হয়।

পরে উপস্থিত সবার সিদ্ধান্তে সাপেক্ষে একটি দরখাস্ত আবেদন করি, পরবর্তী ডেভলপের বিরুদ্ধে সাধন ডায়েরি করি, বিগত ১৬ বছরে ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের দাখিল হয় পল্লবী থানায়, মুসলিম বাজারে মানববন্ধন করি যা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিউজ করা হয়, ২৯ মে ২০২৫ আমাদের আন্দোলনে কারীর আশিক এলাহীকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মুসলিম বাজার নিজ দোকান থেকে বাসার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় আনুমানিক ১০টার দিকে সময় বৃষ্টির মধ্যে গোলাম মোস্তফা ১৭ নং রোডের মাথায় অনাকাঙিক্ষত এক ঘটনায় আসামি করে মামলা করা হয়। আমরা এই গংয়ের লাগাম টানতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ