যেভাবে বিক্রি হয় আলাস্কা

যেভাবে বিক্রি হয় আলাস্কা

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক বরফরাজ্য আলাস্কা, যা আমেরিকার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও প্রকৃতির এক অনন্য বিস্ময়। এই ভূমি নিয়ে আমেরিকার অনেকেই একসময় ‘সিওয়ার্ড’স ফলি’ বা ‘সিওয়ার্ডের বোকামি’ বলে উপহাস করেছিল। কারণ ১৮৬৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাত্র ৭২ লাখ ডলারে (৭ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার) এটি রাশিয়ার কাছ থেকে কিনেছিল।  কিন্তু সেই ‘ভুল’ আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সম্পদশালী রাজ্যগুলোর মধ্যে একটি…

 

দেড় শ বছর আগেও বৃহৎ আলাস্কা ছিল রাশিয়ার। তখন দেশটি মাত্র ৭২ লাখ ডলারে এটি আমেরিকার কাছে বিক্রি করে দেয়। আজকের দিনে যার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় সাড়ে তেষট্টি কোটির বেশি। এ অর্থ দিয়ে ৫,৮৬,০০০ বর্গমাইলের বিশালাকার  আলাস্কা নগরী আমেরিকার হাতে আসে…

 

১৫০ বছর আগে, ১৮৬৭ সালের ৩০ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট উইলিয়াম এইচ. সিওয়ার্ড এবং রুশ দূত ব্যারন এডুয়ার্ড ডি স্টোকল একটি ‘চুক্তিপত্র’ স্বাক্ষর করেন। মাত্র একটি কলমের খোঁচায়, তৎকালীন জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার আলাস্কাকে মাত্র ৭২ লাখ ডলারে (৭ দশমিক ২ মিলিয়ন) আমেরিকার কাছে বিক্রি করে দেন। এর মধ্য দিয়ে আলাস্কায় রাশিয়ার ১২৫ বছরের সাম্রাজ্যের সমাপ্তি হয় এবং বেরিং সাগর পেরিয়ে তাদের আধিপত্যের অবসান ঘটে, যা এক সময় সান ফ্রান্সিসকো উপসাগর থেকে ৯০ মাইল দূরে ক্যালিফোর্নিয়ার ফোর্ট রস পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এখন আলাস্কা আমেরিকার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) অন্যতম ধনী রাজ্য। শুধু তাই নয়- এটি আমেরিকার টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের দ্বিগুণ। সহজভাবে বললে- বাংলাদেশের চার গুণেরও বেশি। আলাস্কার আয়তন প্রায় ৫ লাখ ৮৬ হাজার বর্গমাইল। যদিও আমেরিকা যখন রাশিয়ার কাছ থেকে আলাস্কা ক্রয় করে তখন আমেরিকার ভিতরেই অনেকে এ পদক্ষেপকে ‘বোকামি’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। কারণ তখন আলাস্কা ছিল পাহাড়-পর্বত এবং সমুদ্রে ঘেরা এক জায়গা। জনবসতিও তেমন একটা ছিল না। অন্যদিকে আবহাওয়া ছিল বেশ চরমভাবাপন্ন। কিন্তু সেই আলাস্কা এখন প্রাকৃতিক সম্পদের ভান্ডার। পেট্রোলিয়াম, সোনা এবং মাছের মতো প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ, সেই সঙ্গে রাশিয়া ও আর্কটিকের প্রবেশদ্বার হিসেবে আমেরিকার কৌশলগত অঞ্চল।বিস্তারিত

বিচিত্র খবর শীর্ষ সংবাদ