দুই চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে পথচলা শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়। কিন্তু মত, পথ ভিন্ন হওয়ায় পূর্ণতা পাচ্ছে না প্রস্তাবিত জুলাই সনদ। তাই অনিশ্চয়তা আর সংকটের মুখোমুখি কমিশন। মোটাদাগে দুই কঠিন চ্যালেঞ্জের কোনোটাই এখন পর্যন্ত উতরানো সম্ভব হয়নি। সামনের পথ আরও কঠিন। জুলাই সনদের প্রাথমিক খসড়া চূড়ান্ত হলেও এর বাস্তবায়নের কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছে না কমিশন। এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করা হয়েছে। সেখান থেকে কয়েকটি পথ পাওয়া গেলেও তা নিয়ে উঠেছে বিতর্ক। দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। অন্যদিকে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রভাবশালী কয়েকটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু সেখানেও ফল শূন্য। কারণ দলগুলোর শীর্ষ নেতারা নানা পথের কথা বলেছেন। মতের দর্শন দেখিয়েছেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নীতিনির্ধারক ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে এসব চিত্র পাওয়া গেছে। কমিশন জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের চারটি বিকল্প পথ পাওয়া গেছে। এগুলো হচ্ছে-গণভোট, সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্স মতামত, বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা ও অধ্যাদেশ জারি। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, অধ্যাদেশে কিছু বাস্তবায়ন সম্ভব হলেও সংসদ অনুমোদন না দিলে কার্যকারিতা হারাবে। এমন পরিস্থিতিতে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও এনসিপি বলছে, জুলাই সনদের ভিত্তিতে হবে আগামীর নির্বাচন। সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন ছাড়া জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না তারা। আগামী সংসদের হাতে এই সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন ছেড়ে দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। বর্তমান সরকারের সময় থেকেই এই সনদের বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়েছে দলগুলো। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করবে জামায়াত। দলটি মনে করে, সনদের বাস্তবায়ন প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভর করলে হবে না, আইনি ভিত্তি না থাকলে সনদ মূল্যহীন হয়ে পড়বে। এদিকে, জুলাই সনদে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছে এনসিপি। বিএনপি বলছে, জনগণের সার্বভৌম এখতিয়ারের ভিত্তিতেই এই ঘোষণাপত্রকে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয়েছে। এর চাইতে বড় জাতীয় সম্মতি আর নেই।বিস্তারিত