নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিজিটাল ব্যাংকের ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন দ্বিগুণের বেশি বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ডিজিটাল ব্যাংকের নীতিমালায় মূলধনের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছিল ১২৫ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত সার্কুলার সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কাছে পাঠিয়েছে।
নতুন করে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স প্রদানের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শিগগির এজন্য আবেদন আহ্বান করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী ২৭ অগাস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হবে।
মালয়েশিয়ায় ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে কাজের সুযোগ দেওয়ার খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা
পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর পাশাপাশি ডিজিটাল ব্যাংক সংক্রান্ত নীতিমালাতেও আরও সংশোধনের কাজ চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেছেন, “ডিজিটাল ব্যাংকিং গাইডলাইনের সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
বর্তমানে প্রচলিত ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে উদ্যোক্তাদের ন্যূনতম ৫০০ কোটি টাকা মূলধন থাকতে হয়। ২০২৩ সালের জুনে দেশে ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য নীতিমালা অনুমোদন করা হয়েছিল। ওই নীতিমালা অনুযায়ী উদ্যোক্তাদের জন্য মূলধন ১২৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকের আবেদন আহ্বান করলে ৫২টি আবেদন জমা পড়ে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ৯টি প্রস্তাব পরিচালনা পর্ষদের সভায় পাঠানো হয়। প্রথম ধাপে অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিগুলো হল নগদ, এসিআই এর ‘কড়ি’, কয়েকটি ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগ ডিজি টেন, ব্র্যাকের উদ্যোগ বিকাশ ও ব্যাংক এশিয়ার উদ্যোগ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেড।
পরে ২০২৩ সালের আগস্টে নগদ ও কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসির নামে এলওআই দেওয়া হয়। তবে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ‘পাচারের টাকায়’ বিদেশে কোম্পানি খুলে এই দুটি ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার অভিযোগ সামনে আসে। যার কারণে নগদ ব্যাংক পিএলসির লাইসেন্স স্থগিত করা হয় এবং ‘কড়ি ডিজিটালকে’ এখনও লাইসেন্স দেওয়া হয়নি