আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান ও স্থল হামলায় একদিনে আরও ৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু গাজা শহরেই প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭ জন। নিহতদের মধ্যে ১১ জন ছিলেন খাদ্যসহায়তা সংগ্রহের লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায়।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ ও জোরপূর্বক উচ্ছেদের কারণে গাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এলাকা ছাড়ছেন। হাতে গোনা সামান্য মালপত্র ট্রাক, ভ্যানে ও গাধার গাড়িতে তুলে তারা পালাচ্ছেন।
নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে দেইর আল-বালাহ এলাকায় বহু পরিবার খোলা আকাশের নিচে অস্থায়ী তাঁবু ফেলতে শুরু করেছে। তাদের অধিকাংশই এর আগেও একাধিকবার ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
৫০ বছর বয়সী বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি মোহাম্মদ মারুফ বলেন, আমরা রাস্তায় পড়ে আছি। কী বলব? কুকুরের মতো? না, কুকুরের চেয়েও খারাপ অবস্থায় আছি আমরা। তিনি জানান, নয় সদস্যের পরিবার নিয়ে এর আগেই উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া থেকে পালিয়ে আসতে হয়েছিল তাদের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার একদিনেই গাজায় নিহত হয়েছেন ৭৭ জন। গাজা নগরীতে নিহত ৪৭ জনের মধ্যে অন্তত ১১ জন ছিলেন রুটি সংগ্রহের লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায়। অন্যদিকে, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আবাসিক ভবনে হামলায় প্রাণ হারান আরও সাতজন। ধ্বংসস্তূপ থেকে হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ বলেন, গাজা নগরীতে হামলার তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। ঘরবাড়ি, কমিউনিটি সেন্টারসহ সাধারণ মানুষের জীবনধারণের মূলভিত্তি একে একে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এ সব ঘটছে এমন সময়ে যখন মানুষ দুর্ভিক্ষ, অনাহার ও পানিশূন্যতার মধ্যে রয়েছে। তার ভাষায়, পুরো পরিস্থিতি এখন মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিচ্ছে