সাদিক কায়েম-ফরহাদ-মহিউদ্দীন প্যানেল নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার

সাদিক কায়েম-ফরহাদ-মহিউদ্দীন প্যানেল নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার

এখন আলোচনার কেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় জমজমাট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিভিন্ন জায়গায় প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। বিতরণ করছেন লিফলেট। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার।  নিজেদের ইশতেহারে তুলে ধরেছেন শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো। ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্রার্থীদের কথা জানাচ্ছেন- আকতারুজ্জামান ও ছাব্বিরুল ইসলাম

 

 

এমন পলিসি নির্ধারণ করব যেন প্রতিটি ইনস্টিটিউট ঠিকভাবে কাজ করে

মো. আবু সাদিক কায়েম, ভিপি প্রার্থী, ব্যালট নম্বর ২২

শিক্ষার্থীসহ সর্বসাধারণের আকাক্সক্ষা ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া। নির্বাচন কমিশনে যারা রয়েছেন তাদের অনুরোধ করছি যেন তারা পেশাদারি আচরণ করেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে ‘ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল’ নির্বাচন প্রত্যাশা করি আমরা। কিন্তু তাদের সামগ্রিক কার্যক্রমে আমরা খুব উদ্বিগ্ন। আমরা দেখেছি, একটি ছাত্র সংগঠনকে সুবিধা দিতে মনোনয়ন ফরম তোলার সময়কে বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা প্রচার-প্রচারণার জন্য যেসব ডকুমেন্ট দিয়েছি সেখানে দেখেছি এক প্রার্থীর ছবি বিকৃত করা হয়েছে। আমাদের নারী প্রার্থীদের ওপর ক্রমাগত সাইবার বুলিং করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন পাচ্ছি আমরা। আমরা এ ক্যাম্পাস বিনির্মাণ করতে চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পলিটিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে একাডেমিক ইনস্টিটিউটে রূপান্তর করতে চাই। ছাত্রছাত্রীরা রাজনৈতিকভাবে সচেতন থাকবে। কিন্তু ‘ওভার পলিটিক্স’ বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু থাকবে না। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে। প্রথম বর্ষ থেকেই তারা সুন্দর একাডেমিক পরিবেশ পাবে। অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দলীয় বিবেচনায়। আমরা মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে চাই। শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরি সুবিধা বৃদ্ধি, গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে চাই আমরা। আমরা শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দূর করতে চাই। প্রত্যেকটি হল, ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়াতে মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে চাই। ইশতেহারে আমরা ৩৬ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের বেহাল দশা। আমরা এর সংস্কার করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নিয়োগ, মেডিসিন সেবা বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনে সব পদক্ষেপ নেব। রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম পেপারলেস করা হবে। এতে শিক্ষার্থীদের সব ভোগান্তি লাঘব হবে। আমরা দায়িত্ব নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিসিগত বিভিন্ন পরিবর্তন আসবে। এমন পলিসি নির্ধারণ করব যাতে প্রতিটি ইনস্টিটিউট যথাযথভাবে কাজ করে। জুলাই-পরবর্তী সময় থেকে গত এক বছর শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত ছিলাম আমরা। আমাদের সততা, দক্ষতা, সাহসিকতা দেখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর আস্থা রাখছেন।বিস্তারিত

শিক্ষা শীর্ষ সংবাদ