এ আবিষ্কার পরমাণু-স্তরের ইলেকট্রনিক্সে বিপ্লব ঘটাতে পারে
এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিজ্ঞানী জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ. ডেভোরেট এবং জন এম. মার্টিনিস।
নোবেল কমিটি জানায়, ‘বৈদ্যুতিক বর্তনীর মধ্যে স্থূল কোয়ান্টাম যান্ত্রিক টানেলিং এবং শক্তির কোয়ান্টাইজেশন আবিষ্কারের জন্য এ তিন বিজ্ঞানীকে পদার্থবিজ্ঞানের সর্বোচ্চ সম্মাননা দেওয়া হলো। এ গবেষণা ভবিষ্যতে কোয়ান্টাম কম্পিউটার, সুপার কন্ডাক্টর প্রযুক্তি এবং পরমাণু-স্তরের ইলেকট্রনিক্সে বিপ্লব ঘটাতে পারে।’ কোয়ান্টাম মেকানিক্স সাধারণত ক্ষুদ্র কণা যেমন ইলেকট্রন বা ফোটনের আচরণ নিয়ে কাজ করে। তবে এই তিন বিজ্ঞানী দেখিয়েছেন, এই ‘অদ্ভুত’ কোয়ান্টাম আচরণ বড় বা মানবনির্মিত বস্তুতেও প্রযোজ্য হতে পারে। তাদের পরীক্ষা থেকে প্রমাণিত হয়েছে, একটি অতিপরিবাহী বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা সরাসরি এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় ‘টানেল’ করতে পারে, যেন কণা কোনো কঠিন দেয়াল ভেদ করে চলে গেছে।
চিকিৎসা
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়
২০২৫ সালের চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার মেরি ই ব্রাঙ্কো, ফ্রেড র্যামসডেল এবং শিমন সাকাগুচিকে যৌথভাবে দেওয়া হয়েছে। পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স নিয়ে গবেষণার জন্য তাঁদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এটি রোগপ্রতিরোধ বা ইমিউন সিস্টেমের একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে শরীরের নিজস্ব উপাদান (self-antigens) এবং ক্ষতিকারক নয় এমন বহিরাগত উপাদান (যেমন- কিছু খাদ্য উপাদান, উপকারী অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া)-এর বিরুদ্ধে অনাকাক্সিক্ষত বা অতিরিক্ত প্রতিরোধমূলক প্রতিক্রিয়া (immune response) সৃষ্টি হওয়া রোধ করা হয়। তাদের আবিষ্কার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তা উদ্ঘাটন করেছে। এটি ক্যানসার ও অটোইমিউন রোগের গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন ক্ষেত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং নতুন চিকিৎসার বিকাশকে উৎসাহিত করেছে। মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী রেখে নিজ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি না করে জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে স্বাভাবিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হতে পারে। ব্রাঙ্কো, র্যামসডেল ও সাকাগুচি এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার চিকিৎসাশাস্ত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।বিস্তারিত