ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি পারমাণবিক কর্মসূচি সংক্রান্ত আলোচনার নতুন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর দায়সারা হামলার মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করার দাবি অস্বীকার করেছেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তেহরান ও ওয়াশিংটন পারমাণবিক ইস্যুতে পাঁচ দফা পরোক্ষ আলোচনা চালিয়েছিল, যা গত বছরের ১২ জুনের বিমান হামলার মাধ্যমে শেষ হয়। ওই হামলায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র একযোগে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়।
আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, “ট্রাম্প দাবি করেন তিনি একজন চুক্তিকারী, কিন্তু যদি কোনও চুক্তি জোরজবরদস্তি করে চাপিয়ে দেওয়া হয় এবং ফলাফল আগেই নির্ধারিত থাকে, তাহলে সেটি চুক্তি নয়, বরং নিপীড়ন।”
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প উল্লেখ করেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর তেহরানের সঙ্গে শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘দারুণ’ হবে।
তবে খামেনি বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট গর্ব করেন তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা বোমা দিয়ে ধ্বংস করেছে। তাদের স্বপ্ন দেখতে দিন।”
তিনি আরও বলেন, “ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা আছে কি নেই, সেটা নিয়ে আমেরিকার মাথাব্যথা উচিত নয়। এ ধরণের হস্তক্ষেপ অনুচিত, ভুল ও জোরপূর্বক।”
পশ্চিমা দেশগুলো ইরানকে গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করার অভিযোগ করে আসছে এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছে। তবে তেহরান বরাবরই দাবি করে এসেছে যে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ বেসামরিক ও শান্তিপূর্ণ জ্বালানি উৎপাদনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত।
সূত্র: রয়টার্স